ভারতের বাজারে দিন দিন গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। এখন কমবেশি সকলেই নিজের গাড়িতে যাতায়াত করতে পছন্দ করেন। কিন্তু জ্বালানি তেলের বাড়তে থাকা দাম অনেককেই এখন ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার দিকে চালিত করছে। আর এই কারণে এখন ভারতে ছোট বা বড় নানা ধরণের ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে দিন দিন। তবে ইলেক্টটিক গাড়ির দাম তুলনামূলক অনেকটা বেশি হওয়ার কারণে সেই পেট্রোল, ডিজেল ও সিএনজি ইঞ্জিনের গাড়িই কিনতে হচ্ছে অনেককে।
স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতীয় অটোমোবাইল বাজারে নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করেছে টাটা। রতন টাটার হাতে তৈরি এই অটোমোবাইল কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় বাজারে বিভিন্ন ধরণের গাড়ি লঞ্চ করে আসছে। হ্যাচব্যাক থেকে শুরু ককরে সেডান এমনকি এসইউভি- সব ধরণের গাড়িই লঞ্চ করেছে এই কোম্পানি। আর এবার এই কোম্পানির TATA Nexon গাড়িটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে গ্রাহকদের মধ্যে। তার কারণ হল এই গাড়িতে যাতায়াত করার সুরক্ষার সব বন্দোবস্ত। আর এই বিষয়ে সম্প্রতি বিরাট সাফল্য পেয়েছে রতন টাটার কোম্পানি। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তথ্য।
সম্প্রতি, সুরক্ষার জন্য ফাইভ স্টার রেটিং পেয়েছে এই গাড়িটি। এর আগেও ২০১৮ সালে দেশের সবথেকে সুরক্ষিত গাড়ির তকমা পেয়েছিল Tata Nexon। আর এবার এই গাড়ির নতুন ভ্যারিয়েন্টটিও এনসিএপি-র তরফে ক্র্যাশ টেস্টে ৫-স্টার রেটিং পেল। জানা গেছে, ক্র্যাশ টেস্টের সময় গাড়ির ওজন ছিল ১৬০০ কেজির বেশি। আর এই ওজন বহন করা অবস্থায় গাড়িটিকে ক্র্যাশ করানো হয়। সেই সময় এই গাড়িতে থাকা ৬ টি এয়ারব্যাগ সঠিকভাবে কাজ করে। এর ফলে গাড়িটিকে ফাইভ স্টার রেটিং দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত টাটা নেক্সন গাড়িতে মিলবে ১.২ লিটার টার্বো পেট্রল ইঞ্জিন। সঙ্গে গ্রাহকরা পাবেন সেভেন স্পিড ডুয়াল ক্লাচ ট্রান্সমিশন। এছাড়াও এই গাড়িটিকে অত্যাধুনিক বানায় গাড়িটির বেশ কিছু অত্যাধুনিক ফিচার্স। কারণ এই গাড়িতে দেওয়া হয়েছে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা, ফ্রন্ট পার্কিং সেন্সর, ওয়্যারলেস ফোন চার্জার, ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট সিট, ৬ টি এয়ারব্যাগ। এছাড়াও এই সুরক্ষিত গাড়িতে মিলবে টু স্পোক স্টিয়ারিং হুইল ডিজাইন, নতুন ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার যেখানে ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সংক্রান্ত একাধিক তথ্য পাওয়া যাবে। বর্তমানে এই গাড়ির এক্স-শোরুম দাম রয়েছে ৮,১৪,৯৯০ টাকা।