আজকাল ডিজিটাল যুগে মোবাইলের ব্যবহার বেড়েছে ব্যাপকভাবে। বর্তমানে স্মার্টফোনে একাধিক কাজ করা সম্ভব হলেও মোবাইল মূলত ফোন করার জন্যই আবিষ্কৃত হয়। আজো অনেকের কাছে মোবাইলের একমাত্র প্রয়োজন পড়ে বাইরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্যই। তবে এই মোবাইল অনেকাংশে বদলে দিয়েছে আমাদের জীবনধারাকে। মোবাইলের মাধ্যমেই পৃথিবী এসেছে আমাদের হাতের মুঠোয়। আর এবার এই মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি নিয়ম বদলে যাচ্ছে আগামী ১ লা জুলাই, ২০২৪ থেকে।
মোবাইলের মাধ্যমে কাউকে ফোন করতে গেলেই দরকার হয় সিম কার্ডের। সিম কার্ডের মাধ্যমেই বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্কিংয়ের সুবিধা পাওয়া যায়। বর্তমানে ভারতে মূলত Jio, Airtel এবং VI- এই তিনটি কোম্পানিই উপলব্ধ রয়েছে। এর মধ্যে এক বা একাধিক প্রোভাইডারের সঙ্গে সংযুক্ত হতে কিনতে হয় সিম কার্ড। বিভিন্ন মোবাইল দোকানে গিয়ে বৈধ ডকুমেন্ট দিলে অনায়াসে সিম কার্ড কেনা যায় এখন। তবে এবার থেকে টেলিকম বিভাগ সিম কার্ড অদলবদলেট জন্য একটি নতুন নিয়ম চালু করেছে। যা সকলেরই জেনে রাখা দরকার।
কয়েকবছর আগে ভারলত সিম কার্ড পোর্ট করার নিয়ম চালু করেছিল TRAI। এই নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনো গ্রাহক কোনো টেলিকম কোম্পানির সিমকার্ড ব্যবহার করছেন এবং তিনি সেই টেলিকম কোম্পানির পরিষেবায় খুশি নন বা অন্য কোনো কারণে অন্য টেলিকম কোম্পানির অধীনে যেতে চান, তাহলে তার কাছে পোর্ট করার অপশন ছিল। এক্ষেত্রে ফোন নম্বর একই রেখে আলাদা কোম্পানির সিম কার্ড পাওয়া যেত। এছাড়াও কারো সিম কার্ড হারিয়ে গেলে বা মোবাইল চুরি গেলে একইভাবে ওই আগের নম্বরের অন্য সিম কার্ড পাওয়া যেত পোর্টিং ব্যবস্থার মাধ্যমে।
তবে এবার থেকে এই পোর্ট-এর নিয়ম আর চালু থাকছে না দেশে। সম্প্রতি, TRAI ঘোষ এ করে জানিয়েছে যে আগামী ১ জুলাই, ২০২৪ তর্কে আর পোর্ট করা যাবেনা সিম কার্ড। অর্থাৎ এবার থেকে নম্বর এক রেখে যেমন অন্য কোম্পানির সিম কার্ড পাওয়া যাবেনা, তেমনই সিম কার্ড হারিয়ে গেলেও আর ওই একই নম্বরের দ্বিতীয় সিম কার্ড পাওয়া যাবে না। জানা গেছে, এই সিস্টেম তুলে দেওয়ার পিছনে অনেক বড় উদ্দেশ্য রয়েছে TRAI-এর। অনেক জালিয়াতি এর ফলে বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছে দেশের টেলিকম মন্ত্রক।