প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Electric Scooter: হাওড়ায় ই-স্কুটার তৈরি করবে বিড়লা গ্রুপ, ৫০ কোটির ইউনিটে হাজার হাজার কর্মসংস্থান!

ভারতীয় দু-চাকা গাড়ির বাজারে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা। ক্রমশ পেট্রোল ও ডিজেলের অগ্নিমূল্য হওয়ার কারণে সকলেই এখন ই-ভেহিকেলের দিকে হাত বাড়াচ্ছেন। বলা বাহুল্য, দু'চাকা থেকে চার'চাকা, সবেতেই…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

ভারতীয় দু-চাকা গাড়ির বাজারে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা। ক্রমশ পেট্রোল ও ডিজেলের অগ্নিমূল্য হওয়ার কারণে সকলেই এখন ই-ভেহিকেলের দিকে হাত বাড়াচ্ছেন। বলা বাহুল্য, দু’চাকা থেকে চার’চাকা, সবেতেই ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা তুঙ্গে। আর এই বাজারে বেশ ভালো নামডাক হয়েছে ওলা, হিরো, ইয়ামহা সহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির। এইসব কোম্পানির ইলেক্টটিক গাড়ি বা স্কুটারের চাহিদা এখন বেশ ভালো। তাই এখন শহর থেকে মফঃস্বল- সব জায়গাতেই ইলেকট্রিক গাড়ির শোরুম খোলা হচ্ছে অনেক।

দু’চাকা গাড়ি, বিশেষ করে স্কুটারের বাজারে এখন জনপ্রিয়তা পেয়েছে একাধিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি। তবে এই এই চলতি বাজারে সকলকে টক্কর দিয়ে একের পর এক দুর্দান্ত ফিচার্সের গাড়ি লঞ্চ করে চলেছে র‍্যাফ্ট নামের একটি দেশীয় নির্মাতা সংস্থা। মহারাষ্ট্রের এই স্টার্টআপ কোম্পানিটি বছরখানেক আগেই বাজারে আত্মপ্রকাশ করেছে। আর শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফিচার্স সহ স্কুটার লঞ্চ করছে তারা। তবে সম্প্রতি বিরলা গ্রুপ এই কোম্পানিকে অধিগ্রহন করেছে। আর তাই ব্যবসা বাড়ছে এই কোম্পানিটি।

ব্যবসা বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে বাংলার বুকে যে ইলেকট্রিক স্কুটারের বিরাট চাহিদা রয়েছে, তা মেটাতে বাংলায় আরো ভালোভাবে পা জমাচ্ছে বিড়লা গ্রুপের অধীনস্থ এই সংস্থা। জানা গেছে, এবার পশ্চিমবঙ্গে নির্মাণ ফ্যাক্টরি খুলতে চলেছে মহারাষ্ট্রের এই নির্মাতা সংস্থা। জানা গেছে, এটি দেশের মধ্যে কোম্পানির অষ্টম ইউনিট হতে চলেছে। অর্থাৎ এবার যে পুরোপুরিভাবে গাড়ি নির্মাণের দিকে ও নতুন ব্যবসার পথে হাঁটতে চাইছে বিড়লা গ্রুপ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

এই নতুন পদক্ষেপ প্রসঙ্গে একটি ব্যবসায়িক মিডিয়া হাউসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কসমিক বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি বলেন, “হাওড়ার ডোমজুড়ে একটি নতুন ইউনিট আমরা তৈরি করছি। আগামী তিন চার মাসের মধ্যে এটা করা হবে। এজন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। প্ল্যান্টের কাজও শুরু হয়েছে। এই ইউনিটের জন্য ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। সব মিলিয়ে এই ইউনিটকে কেন্দ্র করে এবার জোয়ার আসতে পারে বাংলার শিল্পক্ষেত্রে”। অর্থাৎ পরবর্তীতে আরো বেশি উৎপাদন বৃদ্ধি করবে এই সংস্থা।