ভারতীয় দু-চাকা গাড়ির বাজারে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা। ক্রমশ পেট্রোল ও ডিজেলের অগ্নিমূল্য হওয়ার কারণে সকলেই এখন ই-ভেহিকেলের দিকে হাত বাড়াচ্ছেন। বলা বাহুল্য, দু’চাকা থেকে চার’চাকা, সবেতেই ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা তুঙ্গে। আর এই বাজারে বেশ ভালো নামডাক হয়েছে ওলা নামক কোম্পানির। তবে ইলেকট্রিক গাড়ির রি যুগে এখনো বেশ জনপ্রিয় পেট্রোল ইঞ্জিন। তার কারণ হল পেট্রোল ইঞ্জিনের পাওয়ার। এক্ষেত্রে বাজারে রয়েছে হোন্ডা, হিরো, ইয়ামহা সহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি।
এবার বর্তমানে ইলেকট্রিক স্কুটারের বাজারে ক্রেতাদের তরফ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে ওলা কোম্পানির Ola S1X স্কুটারটি। ৭৯,৯৯৯ টাকা থেকে এই স্কুটারের দাম শুরু হয় এবং এর টপ মডেলের দাম ১,০৯,৯৯৯ টাকা। অন্যদিকে টিভিএস কোম্পানির Yamaha Ntorque পেট্রোল ইঞ্জিন স্কুটারটিও বেস্টসেলিং স্কুটারের তকমা পেয়েছিল গতবছর। এই স্কুটারের দাম ৮৪,৬৩৬ টাকা থেকে শুরু হয়ে ১,০৪,৬৪১ টাকা অবধি হয়। দামের দিক থেকে দুটি স্কুটার প্রায় সমকক্ষ। কিন্তু কোনটি কিনলে বেশি লাভবান হবেন? আসুন দুটি স্কুটারের নানা দিক তুলনা করে দেখা যাক।
● ইঞ্জিন ও গতি: ইঞ্জিনের দিকে নজর দিকে ওলার এই স্কুটারে পাওয়া যায় শক্তিশালী ব্যাটারি প্যাক ভ্যাটিয়েন্ট। এই স্কুটারে 4 kwh, 3 kwh এবং 2 kwh ব্যাটারি প্যাক পাওয়া যায়। এর সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার। এদিকে টিভিএস-এর পেট্রোল স্কুটারে মিলবে ১২৪.৮ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন যা সর্বোচ্চ ৯.২৫ হর্সপাওয়ার এবং ১০.৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। এর সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৯৫ কিলোমিটার।
● রেঞ্জ ও মাইলেজ: ইলেকট্রিক স্কুটার ও পেট্রোল স্কুটারের খরচের তুলনা করতে গেলে তাদের রেঞ্জ ও মাইলেজ নিয়ে আলোচনা করা জরুরি। ওলার 4kwh ব্যাটারি সমৃদ্ধ স্কুটারে সিঙ্গেল চার্জে ১৯০ কিলোমিটার রেঞ্জ পাওয়া যায়। এদিকে আমরা যদি টিভিএস-এর পেট্রোল স্কুটারের মাইলেজ দেখি, তাহলে এই স্কুটার এক লিটার পেট্রোলে ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার মাইলেজ দিতে পারর। এই স্কুটারের ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ৫.৮ লিটার।
● স্পেসিফিকেশন: স্পেসিফিকেশনের দিক থেকেও দুটি স্কুটার অনেকটা একই। কারণ ওলার স্কুটারের বিশেষ ফিচার্সের কথস বললে সেখানে উল্লেখযোগ্য হল এর ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, LED লাইটিং, কি-লেস লক, স্মার্ট কানেক্টিভিটি ইত্যাদি। অন্যদিকে টিভিএস-এর স্কুটারেও মিলবে ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। এর সঙ্গে এতে দেওয়া হয়েছে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, কল বা ম্যাসেজ এলার্ট এবং LED লাইটিং। তাই দুটি স্কুটারের তুলনায় তেমন পার্থক্য খুজর পাওয়া মুশকিল।