ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে আজকাল চার-চাকা গাড়ি কেনার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের মধ্যে। কয়েকদশক আগে পর্যন্ত নিজস্ব গাড়ি কেনা ছিল বিলাসিতার একটি বিষয়। কেবলমাত্র উচ্চবিত্ত মানুষজনই নিজস্ব গাড়ি কিনে তাতে যাতায়াত করতেন। কিন্তু বর্তমানে এই গাড়ি কেনার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে সাধারণ মধ্যবিত্তদের মধ্যেও। তাই এখন তুলনামূলক কম দামে ভালো ফিচার্স সমৃদ্ধ গাড়ি লঞ্চের দিকে তাকিয়ে থাকে কমবেশি সকলেই।
ভারতীয় বাজারে আজকাল একাধিক কোম্পানি দুর্দান্ত সব গাড়ি লঞ্চ করছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রির পরিসংখ্যান দেখলে এগিয়ে রয়েছে মারুতি সুজুকি ব্র্যান্ড। হ্যাচব্যাক থেকে শুরু করে সেডান, এমনকি এসইউভি বিভিন্ন সেগমেন্টে এই কোম্পানি সাধ্যের মধ্যে গাড়ি লঞ্চ করার প্রবণতা দেখাচ্ছে। তবে এগুলি ছাড়াও আরো দুটি ৭ আসনের গাড়ি বাজারে রয়েছে, যার দাম রয়েছে সাধ্যের মধ্যেই। এই নিবন্ধে আলোচনা করা হল এমনই দুটি গাড়িকে নিয়ে।
● Mahindra Bolero Neo: সাত আসন বিশিষ্ট এই গাড়িতে দেওয়া হয়েছে ১.৫ লিটার ডিজেল ইঞ্জিন রয়েছে, যা ১০০ পিএস শক্তি এবং ২৬০ এনএম টর্ক তৈরি করতে সক্ষম। এছাড়াও এই গাড়িতে রয়েছে একটি ৫-স্পীড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন, মেকানিক্যাল লকিং রিয়ার ডিফারেনশিয়াল এর শীর্ষ ভ্যারিয়েন্ট, ৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, ক্রুজ নিয়ন্ত্রণ, ডুয়াল এয়ারব্যাগ, ইবিডি ও এবিএস, রিয়ার পার্কিং সেন্সর এবং আইএসও মাউন্টিং পয়েন্ট। গাড়িটির এক্স-শোরুম দাম শুরু হচ্ছে ৯.৯০ লক্ষ টাকা থেকে। গাড়িটির সর্বোচ্চ ভ্যারিয়েন্টের দাম ১২.১৫ লক্ষ টাকা।
● Maruti Suzuki Ertiga: এই বেস্টসেলার গাড়িতে দেওয়া হয়েছে একটি হালকা হাইব্রিড প্রযুক্তি সহ ১.৫-লিটার ডুয়ালজেট পেট্রোল ইঞ্জিন, যা ১০৩ পিএস শক্তি এবং ১৩৬.৯ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে। এর সঙ্গে এই গাড়িতে দেওয়া হয়েছে একটি ৫-স্পীড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স। এছাড়াও এই গাড়ির বিশেষ ফিচার হিসেবে রয়েছে ৬-স্পীড টর্ক কনভার্টার অটোমেটিক গিয়ারবক্স। এই গাড়িটি বাজারে উপলব্ধ রয়েছে LXI, VXI, ZXI এবং ZXI প্লাস ভ্যারিয়েন্টে। এর মধ্যে VXI এবং ZXI ভ্যারিয়েন্টে দেওয়া হয়েছে সিএনজি ইঞ্জিন। এই গাড়িতে রয়েছে সিএনজি কিট, যার ইঞ্জিন ৮৮ পিএস শক্তি এবং ১২১.৫ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে। এই গাড়িটির এক্স-শোরুম দাম ৮.৬৯ লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয়। গাড়িটির সর্বোচ্চ ভ্যারিয়েন্টের দাম ১৩.০৩ লক্ষ টাকা।