কয়েকদিন আগেই লোকসভায় অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। পূর্ণাঙ্গ বাজেট জুলাইয়ে আসবে বলে জানান তিনি। লোকসভা ভোট সামনে, তাই অন্তর্বর্তীকালীন এই বাজেট পেশ করেছে কেন্দ্র। তবে কেন্দ্রের বাজেটে সেভাবে বড় কিছু ঘোষণা হয়নি। কিন্তু এবার রাজ্য বাজেটে বড় কিছু ঘোষণা করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই বাজেটকে জনমোহিনী বাজেট বলেও আখ্যা দিচ্ছেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার, বিধানসভায় আগামী অর্থবর্ষের জন্য রাজ্যের বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। এই বাজেটে তিনি একাধিক বড় ঘোষণা করেন। একদিকে যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো জনপ্রিয় প্রকল্পের জন্য বড় ঘোষণা হয়, তেমনই একাধিক নতুন প্রকল্পের ঘোষণাও করা হয় রাজ্যের বাজেটে। আসুন একনজরে দেখে নিই রাজ্য বাজেটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা।
● লক্ষ্মীর ভান্ডার ভাতা বৃদ্ধি: ফের লক্ষ্মীর ভান্ডারে বাজিমাত করল মমতা সরকার। আগামী অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের টাকা বাড়ানো হয়েছে। ঘোষণা মোতাবেক, অসংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা এবার মাসে ৫০০ টাকা অতিরিক্ত পাবেন। অর্থাৎ, তাদের মাসিক ভাতার পরিমান হচ্ছে ১০০০ টাকা। একইসঙ্গে যারা আগে ১০০০ টাকা পেতেন প্রতিমাসে, তারা এবার থেকে মাসে ১২০০ টাকা পাবেন। এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন রাজ্যের ২ কোটি মহিলা।
● সমুদ্রসাথী প্রকল্প: এই বাজেটে মৎস্যজীবীদের জন্য নতুন প্রকল্প হিসেবে ‘সমুদ্রসাথী’র ঘোষণা করা হল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের যেসব মৎস্যজীবী সমুদ্রে মাছ ধরে জীবিকা অর্জন করেন, তাদের বছরে ২ মাস ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেবে সরকার। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে এই টাকা মিলবে।
● কর্মশ্রী প্রকল্প: কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের পাল্টা রাজ্যের কর্ম প্রকল্প লঞ্চ করার ঘোষণা হল বাজেটে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্প। এর মাধ্যমে রাজ্যের শ্রমিকরা ৫০ দিনের কাজ পেতে চলেছেন।
● DA বৃদ্ধি: লোকসভা ভোটের আগে সরকারি কর্মীদের মন জয় করতে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করল রাজ্য। বাজেটে ৪ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা হল। জানা গেছে, আগামী মে মাস থেকে এই বর্ধিত হারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
● সিভিকদের বেতন বৃদ্ধি: এই বাজেটে সিভিক ভলান্টিয়ার,ভিলেজ, গ্রিন পুলিশদের ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা হল। তাঁদের মাসিক পারিশ্রমিক আরও এক হাজার টাকা বৃদ্ধি হবে বলে ঘোষণা হয়। এছাড়াও এইসব কর্মীদের জন্য রাজ্য পুলিশে যুক্ত হওয়ার কোটার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই খাতে ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।