কলকাতার আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা সব দর্শনীয় স্থান। ঐতিহাসিক সময় থেকেই সেইসব স্থান বিখ্যাত হয়র রয়ে গেছে। তেমনি একটি স্থান হল জুলজিক্যাল গার্ডেন আলিপুর। এটিকে আলিপুর চিড়িয়াখানা বা কলকাতা চিড়িয়াখানাও বলা হয়। ভারতের প্রাচীনতম বর্ণিত জুলজিক্যাল পার্ক হিসেবেও পরিচিত এই আলিপুর চিড়িয়াখানা। ১৮৭৬ সাল থেকে চিড়িয়াখানা হিসাবে খোলা রয়েছে এটি। প্রায় হেক্টর বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে এই আলিপুর চিড়িয়াখানা। ব্রিটিশ আমলের ছোঁয়া না থাকলেও এটি সেই সময়েরই সাক্ষী।
কলকাতা শহরের বাসিন্দাদের কাছে কাছেপিঠের এমন একটি অন্যতম গন্তব্য হল আলিপুর চিড়িয়াখানা। হাতে ঘন্টাখানেক সময় নিয়ে শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে গিয়ে আবার ফিরে আসা যায় এই স্থান থেকে। তবে শুধুমাত্র কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলির বাসিন্দাদের কাছেও এই আলিপুর চিড়িয়াখানা হল আকর্ষণের অন্যতম স্থান। বিশেষ করে শিশুদের কাছে এই স্থান হল অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক। সেই কারণেই ছুটির দিনগুলোতে এই আলিপুর চিড়িয়াখানায় ভিড় জমে হাজার হাজার মানুষের।
আলিপুর চিড়িয়াখানা হল বিশেষ একটি আকর্ষণীয় স্থান। এই চিড়িয়াখানায় যেমন অনেক ধরণের পশু দেখতে পাওয়া যায়, তেমনই আবার অনেক ধরণের পাখি রয়েছে এখানে। একইসঙ্গে চিড়িয়াখানায় রয়েছে অনেক ধরেনর সরীসৃপও। তবে যে প্রাণীদের কারণে আলিপুর চিড়িয়াখানা বিখ্যাত সেগুলি হল, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, হাতি, গন্ডার, জিরাফ, ময়ূর প্রভৃতি। এছাড়াও অনেক বিরল প্রাণীকে রাখা হয় চিড়িয়াখানায়। সেই কারণেই শিশুমনের বিকাশ ঘটাতে চিড়িয়াখানা এক অনন্য স্থানের তকমা পায়।
আর এবার এই আলিপুর চিড়িয়াখানায় চালু হল এক দারুন ব্যবস্থা। এবার থেকে যেসব দর্শক হেঁটে চিড়িয়াখানা ঘুরতে পারবেন না, তাদের জন্য থাকবে ব্যাটারি গাড়ির ব্যবস্থা। জর কেউ এই গাড়িতে চড়ে চিড়িয়াখানা ঘুরতে পারবেন। তাই যারা শুধুমাত্র হয়রানি হওয়ার কারণে চিড়িয়াখানা স্কিপ করে যান, তাদের জন্য এক এক বিরাট সুখবর। গত ১ মার্চ থেকে এই পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে সেখানে। এর জন্য আলাদা করে ভাড়া দিতে হবে।