পৃথিবীজুড়ে চলছে প্রেমের সপ্তাহ। বসন্তের শুরুতে এ যেন এক ভালোবাসার মরশুম। দেশে দেশে যুবক যুবতী থেকে প্রৌঢ়-প্রৌঢ়া, সকলেই নিজের কাছের মানুষটির সঙ্গে ভালোবাসার মর্মর ধ্বনি শুনতে মগ্ন। একের পর এক দিন মনের মানুষকে নানা উপহার দেওয়ার রীতি রয়েছে এই সপ্তাহে। কোনোদিন গোলাপ, কোনোদিন চকোলেট, কোনোদিন টেডি বিয়ার, আবার কোনোদিন নামিদামি উপহার দিয়ে থাকেন অনেকেই। অনেকেই আবার কাছের মানুষের সঙ্গে এক আকাশের নিচে সময় কাটাতে পছন্দ করেন এই দিনগুলিতে। সাধারণ মানুষদের পাশাপাশি তারকা মহলেও এই বিশেষ সপ্তাহকে ঘিরে রয়েছে অন্য উন্মাদনা।
আগামী ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেনটাইন্স ডে বা প্রেম দিবস। এক সপ্তাহের নানা দিবস পার করে এ যেন এক প্রেমময় দিন হয়ে ওঠে বিশ্বজুড়ে। এদিকে এবছর বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ও পড়েছে একই দিনে। অর্থাৎ, আগামী ১৪ ই ফেব্রুয়ারি একইসঙ্গে প্রেম দিবস ও সরস্বতী দিবস। তাই এই দিনটিতে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন অনেক যুগল। তবে শুধু ঘোরাফেরা করা নয়, এই দিনে একসাথে কিছু পেটপুজো করাটাও জরুরি। তাই অনেকেই এই দিনে কাপল ডিশ বা ভ্যালেন্টাইন্স আইটেমের খোঁজ করতে থাকেন। আর এবার তাদের জন্য এসে গেল ভ্যালেন্টাইন্স চপ।
এতদিন হয়তো আপনার আলুর চপ, মাছের চপ, চিংড়ির চপ, মাংসের চপ কিংবা বিভিন্ন সবজির ভেজিটেবল চপের নাম শুনেছেন। কিন্তু ভালোবাসার চপের নাম হয়তো শোনেন নি। কিন্তু এই প্রেমের সপ্তাহে এই ভ্যালেন্টাইন্স চপে মজেছে ব্যান্ডেলবাসী। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যান্ডেল স্টেশন রোডের কৈলাসনগর মোড়ে তপন সাহার ‘দাদা-বৌদির চপ সেন্টার’ নামের এই দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে এই ভালোবাসার চপ। বিভিন্ন ভেজিটেবল দিয়ে হৃদয় আকৃতির এই চপের চাহিদা এখন সেখানে তুঙ্গে। আর হবে নাই বা কেন, ভালোবেসে এক দম্পতি যে বিক্রি করছেন এই ভালোবাসার চপ। দাম মাত্র ১০ টাকা প্রতি পিস।
কিন্তু আচমকা চপের মধ্যে ভালোবাসার ফ্লেভার জুড়ে দেওয়ার ভাবনা কিভাবে এল? কিভাবেই বা চপকে হৃদয়ের আকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করলেন তারা? এইসব প্রশ্নের উত্তরে দোকানের মালিক তপনবাবু জানান, ”মাত্র এক বছর আগে আমাদের এই দোকান শুরু হয়। সামনে একটি বিশেষ দিন। তাই সেদিনের বিশেষ স্মৃতি ধরে রাখতে আমার মাথায় এই ভ্যালেন্টাইনস চপের ভাবনাটি আসে। তা বাস্তবায়িত করার মধ্য দিয়ে সাফল্য পেলাম। কম বয়সী যুবক-যুবতীরা এই চপ নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহী। আগামী দিনে আরও ভালো কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে।”