ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই ভারতীয় রেল আমাদের দেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থায় এক অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। যাত্রী পরিবহন থেকে শুরু করে দৈর্ঘতার নিরিখে ভারতীয় রেল বিশ্বে চতুর্থ স্থান দখল করে। সুদূর জম্মু থেকে কন্যাককুমারী, আসাম থেকে রাজস্থান- সর্বত্র বিছিয়ে রয়েছে রেলের যোগাযোগ। আর এই বিশাল দেশে রেল ব্যবস্থা চালু রয়েছে বছরের সবকটি দিনই।
ভারতীয় রেলের অধীনে অনেক ধরণের ট্রেন চলে। যেমন লোকাল ট্রেনে শহর বা জেলার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া যায়, তেমনই আবার এক্সপ্রেস ট্রেনে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়া যায়। এর মাঝেই আবার রয়েছে সুপারফাস্ট এবং সেমি-হাইস্পিড ট্রেনও। তবে ট্রেন নিয়ে এমন কিছু অজানা বিষয় আছে, যা আমরা সচরাচর দেখে থাকি বা আলোচনা করে থাকি, কিন্তু বিষয়গুলি সম্পর্কে আমরা জানিনা। তেমনই রয়েছে কিছু অবাক করার মতো ঐতিহাসিক বিষয়। এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো এমনই একটি বিষয়কে।
আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে পুরাতন স্টেশনের নাম কি। এর উত্তরে আপনার মনে হয়তো প্রথমেই আসবে হাওড়া জংশন বা শিয়ালদহ জংশনের নাম। তবে দুটোর মধ্যে একটাও সঠিক উত্তর নয়। আদতে দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে প্রাচীন রেল স্টেশনের নাম হল খানা জংশন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় অবস্থিত এই স্টেশন। এটি সর্বপ্রথম জংশনের তকমা পায় ১৮৬৯ সালে। তৎকালীন ইস্ট-ইন্ডিয়া রেলওয়ে দিল্লি হাওড়া রুট চালু করার সময় এটিকে জংশন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। যদিও তার আগে কয়লা পরিবহনের জন্য এই স্টেশনে মালগাড়ির যাতায়াত শুরু হয়।
বর্তমানে একইভাবে দন্ডায়মান দক্ষিণবঙ্গের এই প্রাচীনতম রেল স্টেশন। এখন এই স্টেশনে রুটের সব লোকাল ট্রেন ছাড়াও দাঁড়ায় দূরপাল্লার কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেনও। খান জংশনে যেসব স্টেশন স্টপেজ দেয়, সেগুলি হল- হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেস, বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার, হাওড়া-মোকামা এক্সপ্রেস। এছাড়া যাতায়াত করে শিয়ালদহ-গোড্ডা মেমু স্পেশাল। তবে অনেকেই এই স্টেশনের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত নন।