এখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছানোর মাধ্যম কিন্তু একাধিক রয়েছে। শহরাঞ্চলে রয়েছে ট্রেন পরিষেবা। এছাড়াও শহর ও মফঃস্বল এলাকায় রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি বাস পরিষেবা। এছাড়াও ট্যাক্সি পরিষেবা ব্যক্তিগতভাবে দ্রুত গন্তব্যে পৌছনোর জন্য একটি ভালো বিকল্প। তবে এতে খরচ বেশি। তবে এই খরচের সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে দিয়েছে কিছু মোটর বাইক সংস্থা। কম খরচে বাইক বুক করে দ্রুত পৌঁছানো যায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে। এককথায় পরিবহনের এখন একাধিক বিকল্প উপলব্ধ রয়েছে রাজ্যে।
তবে পরিবহনের ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে জিনিসটা প্রতিদিন বাড়ছে, সেটি হল যানজট। আজকাল এত গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে যে রাস্তায় জ্যাম আজকাল ছোট শহরেও দেখা যায়। আর এই যানজটের সমস্যায় নিত্যদিন ভুগতে হয় উলুবেড়িয়া শহরের মানুষজনকে। উল্লেখ্য, হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া শহরকে অনেকেই কলকাতার দ্বার বলে থাকেন। তাই এই শহরে যানজটের সমস্যা বাড়তে থাকায় তার প্রভাব পড়ছে কলকাতার সঙ্গে দূরের শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায়।
তবে এবার উলুবেড়িয়া শহরের মানুষজনকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে পূর্ত ও পরিবহন দফতর। কারণ সোমবার উদ্বোধন হয়ে গেল উলুবেড়িয়া গঙ্গারামপুর থেকে জেটিঘাট পর্যন্ত বাইপাস রাস্তার কাজের। এদিন এই রাস্তার উদ্বোধন করেন রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়। এছাড়াও এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিদেশ বসু এবং উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস আর ভাইস চেয়ারম্যান ইনামুর রহমান ও পূর্ত দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, এই রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয় গত মাসের ৭ তারিখ। শীঘ্রই এই কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানান রাজ্যের মন্ত্রী। সূত্রের খবর, মেদিনীপুর পূর্ব ক্যানেলের উপর ৩০ মিটার লম্বা একজোড়া সেতু নির্মাণ করা হবে। যার মধ্যে একটি সেতু গঙ্গারামপুর মোড়ে এবং অন্যটি উলুবেড়িয়া মিশন স্কুলের কাছে। এছাড়াও ক্যানেলের উপর বহু জায়গায় ৮ টি কালভার্টও নির্মান হবে বলে জানা গেছে। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, এই বাইপাস রাস্তা নির্মাণের জন্য খরচ প্রায় ৩৭কোটি টাকা। এই রাস্তাটি ৭ মিটার চওড়া হবে এবং রাস্তার দুই পাশে আড়াই মিটার করে ফুটপাথ থাকবে। এর ফলে উলুবেড়িয়াবাসী ব্যাপক সুবিধা পাবেন বলে জানা গেছে।