বাংলার আবহাওয়া থেকে রীতিমতো উধাও হয়েছে শীত। সন্ধ্যে থেকে হালকা ঠান্ডা শরীরে অনুভূত হচ্ছে, ভোরের দিকেও রয়েছে হালকা ঠান্ডার চাদর। কিন্তু সূর্য ওঠার পর থেকেই যেন শীতের কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না বাংলায়। এদিকে বাংলা ক্যালেন্ডারের দিকে নজর দিলেও দেখা যাচ্ছে যে ফাল্গুন মাস এসে হাজির। অর্থাৎ, খাতায় কলমে এখন বসন্ত। যদিও কয়েকদিন আগেই বৃষ্টির মুখ দেখেছে বাংলা। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ অবধি বৃষ্টি হয়েছে টানা কয়েকদিন। তবে মেঘ কেটে যেতেই বসন্তের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে রাজ্যের বুকে। তাই এখন কোকিলের সঙ্গে গলা মিলিয়ে, মন খুলে বলাই যায় যে বসন্ত এসে গেছে।
আর এই বসন্ত মানেই রঙের উৎসব দোল। বাঙালির দোলযাত্রা বাংলার বাইরে হোলি নামে পরিচিত। রঙে রাঙিয়ে দেওয়ার উৎসব এটি। কারন, এই সময়ে প্রকৃতিও নিজেকে রাঙিয়ে নেয় নানা রঙে। আর এই রঙের পরিবর্তনটা দেখা যায় যেখানে গাছের আধিক্য বেশি। সেই কারণে এই বসন্তে নামি কোনো জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার থেকে অফবিট জায়গায় গেলে বেশি সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়। আর আপনিও যদি এমন কোনো অফবিট স্থান খুঁজছেন যেখানে দোলের ছুটিতে যেতে পারবেন, তাহলে আপনার জন্য রইল এমনই একটি জায়গার সন্ধান।
বসন্তে বঙ্গের যেসব জায়গা সবথেকে সুন্দরভাবে সেজে ওঠে, তার মধ্যে অন্যতম হল ডুয়ার্স। ডুয়ার্সে এমন অনেক স্থান আছে যেগুলিতে নির্জন পাহাড়ি জঙ্গলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আর ডুয়ার্সের বুকে এমনই এক সুন্দর স্থান হল টিয়া বন। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে এখানে টিয়া পাখির আধিক্য বেশি। এলহানের জঙ্গলে ঝাঁকে ঝাঁকে বুনো টিয়া পাখি বসবাস করে। তাই এখানে এলে সারাদিন আপনার কেটে যাবে টিয়া পাখির ডাক শুনতে শুনতেই। সেই সঙ্গে পাহাড়ের অপূর্ব বসন্তের রূপ দেখতে পারবেন এই জায়গা থেকে। একইভাবে পাহাড়ি নদীর পাড়ে বসেও সময় কাটানোর সুযোগ থাকছে।
এই স্থানের কাছাকাছি রয়েছে অনেক চা বাগান এবং চায়ের ফ্যাক্টরি। তাই এখানে এলে আপনি চা তৈরি দেখতে পারবেন। পাশাপাশি গরুমারা, চাপড়ামারি, চালসা ভিউ পয়েন্ট সহ অনেক জায়গায় যাওয়ার সুযোগ থাকছে এখান থেকে। একইভাবে এই স্থানে আপনি রক ক্লাইম্বিং, ট্রি ক্লাইম্বিংয়ের মতো এডভেঞ্চার করার সুযোগ পাবেন। তবে এখানে কোনো রিসোর্ট নেই। রয়েছে ছোট ছোট কিছু হোম-স্টে। খাওয়াদাওয়া, ফ্রি ইন্টারনেট সহ থাকার ব্যবস্থা এখানে শুরু হয় মাত্র ২৫০ টাকা থেকে। তাই কম বাজেটে অফবিট ডেস্টিনেশন খুঁজলে টিয়া বনকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারেন।