বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক জনবহুল দেশ ভারত। তাই ভারতে নিত্যদিন মানুষের যাতায়াত করতে হয় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। আর বর্তমান সময়ে ভারতীয় রেল আমাদের দেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থায় এক অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। যাত্রী পরিবহন থেকে শুরু করে দৈর্ঘতার নিরিখে ভারতীয় রেল বিশ্বে চতুর্থ স্থান দখল করে। আর এই বিশাল রেল নেটওয়ার্ককে উন্নীত করতে এবার একের পর এক বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় রেল। স্টেশনগুলিকে সাজানো থেকে শুরু করে ট্রেনের গতি বাড়ানো এবং নতুন ট্রেন উদ্বোধন এখন প্রায়ই হচ্ছে দেশজুড়ে।
একদিকে ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৫০০-র বেশি স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্টেশনকে নবরূপে গড়ে তোলা হচ্ছে। তিবে এই প্রকল্পের বাইরেও বিভিন্ন কাজ করে চলেছে রেল। এই মর্মে এবার কাজ শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগর স্টেশনে। উল্লেখ্য, এই ঠাকুরনগর স্টেশন বাংলার বুকে একটি উল্লেখযোগ্য স্টেশন। বছরের একটি সময় মতুয়াগড় ঠাকুরনগরের এই স্টেশনে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। বারুনী মেলায় অনেক ভক্ত ভিড় জমান এই এলাকায়।
সেই কারণেই বর্তমানে ঠাকুরনগর স্টেশনে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। স্টেশনের মান বৃদ্ধির জন্য এইসব কাজ চলছে স্টেশনে। জানা গেছে, ইতিমধ্যে ঠাকুনগর স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। জোরকদমে চলছে এই কাজ। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই এই প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়ে যাবে হলে জানা গেছে। তবে শুধু তিন নম্বর নয়, একইসঙ্গে এক নম্বর ও দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মকেও সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এই কারণে সেখানের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষের খবর উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, আশেপাশের এলাকার মধ্যে ঠাকুরনগরেই রয়েছে সবথেকে বড় ফুলের বাজার। সেই কারণে কয়েকহাজার ফুল বিক্রেতার সমাগম হয় সেখানে প্রতিদিনই। তাই অনেকে জায়গা না পেয়ে স্টেশনের ধারে বসেন। এমন প্রায় ৩৫ হকার রয়েছে, যাদের বাধ্য হয়েই সেখানে বসতে হয়। কিন্তু ঠাকুনগর স্টেশনে হকার উচ্ছেদের নোটিস দিয়েছে রেল। এই কারণেই এবার ব্যবসায়ীদের চোখে জল। কারণ তারা যে রেলের উন্নয়ন চান না, তেমনটা নয়, তবে তার কারণে তাদের পেটের ভাত কেড়ে নেওয়াকে সমর্থন করছেন না কেউই।