উইকেন্ডের দু’দিনের ছোট্ট ট্যুর হোক বা বিশেষ কোনো মুহূর্তের উদযাপন, বাঙালির কাছেপিঠের গন্তব্য হয় একটাই। আর সেটা হল দীঘা। অনেকে আবার শীতের হালকা আমেজে ঝাউবনের মৃদুমন্দ বাতাসের মাঝে কষ্ট করে উনুন জ্বালিয়ে বনভোজন করতেও বেছে নেন দীঘাকে। আবার অনেকেই রয়েছেন ভোজনরসিক, যারা সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার রসনাতৃপ্তির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন বাংলার এই সমুদ্র সৈকতে। তবে উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, দীঘা সমুদ্র সৈকত বাঙালির মনে যেন একটা আলাদা জায়গা পায়।
দীঘায় রয়েছে শান্ত সমুদ্রের নাতিশীতোষ্ণ নোনা বাতাসের সরগম। এই সমুদ্র সৈকতের ফাঁকা বালিয়াড়িতে বসে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত বেশ নয়নাভিরাম দৃশ্য। তেমনই সেই সমুদ্র সৈকতে রয়েছে মৎস্যলালসা নিবারণের উপায়। দীঘার বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ি জুড়ে রয়েছে বহু সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার খুচরো স্টল। যে স্টলে গেলেই খুব কম দামে উদরাভিরাম হয় বাঙালির। তবে শুধুমাত্র খাওয়াদাওয়া বা ঘোরাফেরা নয়, দীঘায় গিয়ে রাত কাটাতে হলে দরকার পড়ে হোটেল রুমের। আর এক্ষেত্রে আগের থেকে হোটেল রুম বুকিং করে রাখতে হয়। নাহলেই দীঘায় গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।
তবে ডিসেম্বর বা জানুয়ারি কিংবা পুজোর সময় দীঘায় ভিড় বাড়ে। কারণ এই সময়ে অনেকেই দীঘায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেই কারণে দীঘায় হোটেল রুম পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। আবার রুম পাওয়া গেলেও রুমের দাম দেখে অনেকেরই পিলে চমকে ওঠে। কারণ, নন-এসি রুম নিতেই প্রতিদিন ১,২০০ টাকা থেকে ১,৫০০ টাকা খসে যায় পর্যটকদের। সেই কারণে অনেক মধ্যবিত্ত পর্যটককে সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এবার থেকে এই সমস্যার সমাধান করবে সরকার। কারণ এবার থেকে দীঘায় মাত্র ৪০ টাকায় রুম পাওয়া যাচ্ছে।
সম্প্রতি, বাংলার বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র হলিডে হোম খুলেছে রাজ্য সরকার।পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের তরফে দার্জিলিং ও বকখালির পাশাপাশি দীঘাতেও খোলা হয়েছে এমন একটি হলিডে হোম। আর এখানে গেলেই মাত্র ৪০ টাকা থেকে রুম নিতে পারবেন আপনি। নিউ দীঘার সায়েন্স মিউজিয়ামের বিপরীতে রয়েছে এই সরকারি হলিডে হোম। এখানে গেলে আপনি কম দামে রুম পেয়ে যাবেন। তবে রুম বুকিং শুরু হচ্ছে মাত্র ৪০ টাকা থেকে। এক্ষেত্রে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করতে পারেন https://wblwb.org/html/holiday_homes.php-এই লিঙ্কটি।