দুর্গাপূজা হোক বা শীতের ছুটি, কাজ থেকে ফুরসৎ মিললেই অনেকে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। কখনও গন্তব্য হয়ে থাকে পাহাড়, কখনো সমুদ্র, কখনো ঐতিহাসিক স্থান, কখনো ধর্মীয় স্থান, আবার কখনো কোনো শান্ত জায়গা। এর মাঝে অনেকেই যান বিদেশ ট্যুরে, কেউ আবার ভিনরাজ্যে কোনো দর্শনীয় স্থান যেতে পছন্দ করেন। অনেকেই আবার কাছেপিঠের কোনো সুন্দর জায়গা খুঁজে নেন হলিডে ডেস্টিনেশন হিসেবে। সেখানেই দিনকয়েক কাটিয়ে আবার সাধারণ জীবনে ফিরতে হয়।
বাঙালির কাছেপিঠের সুন্দর জায়গার অন্যতম হল দার্জিলিং। উত্তরবঙ্গে অবস্থিত ছবির মতো এই শহরকে বাংলার পর্যটন শিল্পের অন্যতম আধার হিসেবে ধরা হয়। সেই কারণেই বছরের সব সময়ই দার্জিলিংয়ে ভিড় থাকে পর্যটকদের। তবর মোটামুটি সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি অবধি দার্জিলিংয়ে ভিড় হয় সর্বোচ্চ। এই সময়টাকেই অনেকে বেছে নেন পাহাড়ে ঘোড়ার সুসময় হিসেবে। কিন্তু অনেকেই যারা ভিড় পছন্দ করেন না, তাদের কাছে দার্জিলিং যতটা না আরামের, ততটাই বেশি বিরক্তিকর। তবে দার্জিলিংয়ের সামনেই রয়েছে এমন এক সুন্দর জায়গা, যেখানে ভিড় নেই, কিন্তু ঠাসা রয়েছে সৌন্দর্য্য।
বসন্তের দিনে রঙিন হওয়ার মেজাজে থাকা পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে সিঙ্গালিলা ও মাজুয়া। উত্তরবঙ্গের দুর্দান্ত অফ-বিট ডেস্টিনেশন এগুলি। মূলত পাহাড়ের গায়ে অবস্থিত কটেজে আপনি রাত কাটাতে পারবেন এখানে। একইসঙ্গে এখানে আপনি পাহাড়ি ঝর্ণার দেখা পাবেন। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে পাহাড়ি নির্জনতায় মিলনে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময়ে এখানে অদ্ভুত প্রশান্তি পাওয়া যায়। একইসঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসেবে পাবেন ঝর্ণার শব্দ। আবার এখান থেকে মাজুয়া জঙ্গল খুব কাছেই। তাই এই স্থানটি একটি দারুন অফবিট ডেস্টিনেশন হতে পারে।
কিন্তু কিভাবে পৌঁছাবেন এই অফ-বিট স্থানে? কলকাতা থেকে সিঙ্গালিলা ও মাজুয়া যেতে হলে হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে সোজা চলে যান শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি থেকে আপনি কোনো গাড়ি ভাড়া করে দার্জিলিং পৌঁছাতে পারবেন। সেখান থেকে আবার প্রাইভেট গাড়িতে সিঙ্গালিলা পৌঁছে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে মাথাপিছু খরচ হবে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। সিঙ্গালিলা থেকে মাজুয়া জঙ্গলে পৌঁছাতে পারেন গাড়িতে। এক্ষেত্রে মাথাপিছু ৩০০ টাকার মতো খরচ হবে। এছাড়াও এখানে উডেন কটেজে রাত কাটাতে খরচ হবে আড়াই হাজার টাকার কাছাকাছি। তাই দিন দুয়েক কাটিয়ে আসতে পারেন অনায়াসে।