ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের মানুষদের উন্নয়নের স্বার্থে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা এবং তাদের রূপায়ণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে মমতা সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যে চালু হয়েছে একাধিক প্রকল্পের। আর এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষজন। এখনো অনেক প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের নানা ধরণের মানুষদের উন্নীত করতে সাহায্য করেছে রাজ্য সরকার। বলা বাহুল্য, এইসব প্রকল্পের রূপায়ণের মাধ্যমেই রাজ্যের উন্নয়নে এক বড় ভূমিকা নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকার।
বর্তমানে রাজ্যে ৫০ টির বেশি প্রকল্প চালু রয়েছে। রূপশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী, কৃষকবন্ধু সহ অনেক প্রকল্প চালু রয়েছে রাজ্যে। এছাড়াও রাজ্যের আর সব প্রকল্পের মধ্যে কন্যাশ্রী হল একটি সর্বজনবিদিত প্রকল্প। এসবের পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা দিতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের রূপায়ন ঘটানো হয় রাজ্যে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেশ কিছু রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি বিভিন্ন অস্ত্রোপচারের সুবিধাও পাওয়া যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়ে থাকেন রাজ্যবাসী।
আর এবার রাজ্য বাজেটে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। গত মাসে বিধানসভায় ২০২৪-২৫ সালের অর্থ বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অতিরিক্ত সুবিধা সম্পর্কে। জানা গেছে, এবার থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরাও এই প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়লে সেখানেও এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে বলে ঘোষণা করা হয় রাজ্য বাজেটে।
রাজ্য বাজেট পেশ করার সময় এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্যপরিষেবার ক্ষেত্রে প্রভূত সাফল্যের দেখা পেয়েছি। আমি রাজ্যের বাইরে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক, যাদের কর্মসাথী পরিযায়ী শ্রমিক পোর্টালে নাম নথিভুক্ত আছে তাঁদেরও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনার প্রস্তাব করছি। এই প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকেরা তাদের কর্মস্থানের নিকটবর্তী হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সহায়তায় বীমার মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর সুবিধা পাবেন।” এছাড়াও তিনি বলেন, “এই পদক্ষেপটি কার্যকরের জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২৮ লক্ষেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক এতে উপকৃত হতে চলেছেন।”