দ্রুতগতির ট্রেনের নাম শুনলেই সকলের মাথায় আসে জাপানের বুলেট ট্রেনের নাম। তবে সেই বুলেট ট্রেনকে এখন টক্কর দিচ্ছে সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারতে তৈরি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ‘ট্রেন-১৮’ কোড নামে পরিচিত এই ট্রেনের গতি এখন আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছে দূরের স্থানকে। গোটা দেশেই চালু হয়েছে বন্দে ভারতের পরিষেবা। পশ্চিমবঙ্গেও চালু হয়েছে এই সেমি-হাই স্পিড ট্রেনের যাত্রাপথ। রাজ্যে এখন একাধিক রুটে চলে এই ট্রেন। আর এবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে হল বড়সড় এক ঘোষণা।
গতির সঙ্গে অত্যাধুনিক সব সুবিধা পাওয়া যায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। যাত্রীদের প্রিমিয়াম ধরণের সুবিধা দিতে এই ট্রেনকে অনেক অত্যাধুনিক ফিচার্স দিয়ে সাজানো হয়। একইসঙ্গে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সফর করলে প্রত্যেক যাত্রীকে সুস্বাদু ও পরিমিত খাবার দেওয়া হয়, যা ইতিমধ্যে চর্চায় এনেছে ভারতীয় রেলের এই আধুনিক ট্রেনকে। কিন্তু যে কারণের জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেস অন্যান্য সুপারফাস্ট ট্রেনের থেকে আলাদা তা হল এই ট্রেনের গতি। গতি ও সুবিধার জন্য এই ট্রেনের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে রয়েছে ভারতে।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বুকে দাপটের সঙ্গে ছুটছে পাঁচটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। শোনা যাচ্ছিল, এই বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালে আরো একাধিক এই সেমি-হাইস্পিড ট্রেন পেতে পারে বাংলা। আর এই সম্ভাবনার মাঝেই হল এক বড় ঘোষণা। কারণ এবার বাংলায় যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হবে এক্কেবারে অন্য রূপে। কারণ এবার থেকে নীল সাদা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলবে না। এবার থেকে গেরুয়া রংয়ের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলবে দেশে। আর সেই ট্রেন পাবে বাংলাও।
কিন্তু কোন রুটে চলবে এই ট্রেন? এই বিষয়ে এখনো কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা হয়নি। তবে যেমনটা শোনা যাচ্ছে, তাতে করে শিলিগুড়ি থেকে পাটনা রুটে ছুটতে পারে এই নয়া ট্রেন। ইতিমধ্যে এই ট্রেনের ছবি ভাইরাল হয়েছে। আট কামরার এই ট্রেনের এই রেল ইতিমধ্যে এসে গিয়েছে নিউ জলপাইগুড়িতে। রেল সূত্রে জানা গেছে, আইসিএফ চেন্নাইয়ের তৈরি হয়েবহে ৫১তম এই ভি-২.০ বন্দে ভারত রেক। তবে এই ট্রেন কবে থাকা চালু হবে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে লোকসভা ভোটের আগে এই ট্রেনের চাকা যে গড়াতে পারে, তার সম্ভাবনা প্রবল।