কলকাতার বুকে মেট্রো পরিষেবাকে অনেকে শহরের হৃদস্পন্দন বলে থাকেন। সেই কারণেই দিন প্রতিদিন কলকাতা মেট্রোকে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। একইসঙ্গে চলছে মেট্রো সম্প্রসারণের কাজও। তবে সবকটি প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হল গঙ্গার নীচ দিয়ে ট্রেন চালানো অর্থাৎ ‘ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো’। রাজ্যবাসী তাকিয়ে সেই দিনটির দিকে, যেদিন গঙ্গাকে ভেদ করে তার বুক চিরে ছুটে যাবে ট্রেন। সূত্রের খবর, হাওড়া-ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড রুটে মেট্রো চালানোর দিনক্ষণ নিয়ে এবার এক বড় আপডেট দিতে চলেছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো রেল চালানোর বিষয়ে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা এই সুড়ঙ্গে আলো বসানোর কাজও সম্পন্ন করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, গঙ্গার নিচের অংশে জ্বালানো হবে নীল রংয়ের আলো। এর মাধ্যমে যাত্রীরা নদীর নীচে সফরের মজা নিতে পারেন। তবে এইসব কাজ পরিদর্শন করে মাসখানেক আগে গ্রীন সিগন্যাল দেন নি রেলের সেফটি কমিশনার। কারণ, সেই সময় সেখানে সুরক্ষার একাধিক গাফিলতি ধরা পড়েছিল বলে খবর। সেই কারণে ফের অপেক্ষার প্রহর বেড়ে যায় এই রুট চালু হওয়ার জন্য।
তবে সোমবার ফের এই রুটে হল পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ। এদিন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনককুমার গর্গ সহ কলকাতা মেট্রোর বেশ কিছু আধিকারিক এই রুটের ৪.৮ কিলোমিটার টানেল পর্যবেক্ষণ করেন। এদিন তারা ট্রলিতে চেপে পুরো সুড়ঙ্গের সুরক্ষার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। সুড়ঙ্গের আলো, ভ্যান্টিলেশন সহ নানা দিক এদিন খতিয়ে দেখেন তিনি। একইসঙ্গে সুড়ঙ্গের দুটি প্রবেশ পথেও চলে পরিদর্শন। একইসঙ্গে হাওড়া ময়দান স্টেশন পরিদর্শনও হয় এদিন। সূত্রের খবর, এদিন আরো কোনো খামতি ধরা পড়েনি। টসি মেট্রো নিয়ে শীঘ্রই যে সুখবর আসতে পারে, তা এবার আন্দাজ করা যাচ্ছে।
এদিকে এই রুটে যাত্রী পরিবহন বিপুল পরিমাণ হতে পারে বলে অনুমান করছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। কারণ প্রতিদিনই হাওড়া স্টেশন থেকে কলকাতায় আসেন লক্ষ লক্ষ মানুষ, উল্টোদিক থেকেও একই পরিমান যাত্রীদের চাপ থাকবে। টুই এই কথাটি মাথায় রেখেই খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, ১২ মিনিট অন্তর এই রুটে মেট্রো চালাবে রেল কর্তৃপক্ষ।