বাংলার বুকে এখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছানোর মাধ্যম কিন্তু একাধিক রয়েছে। শহরাঞ্চলে রয়েছে ট্রেন পরিষেবা। এছাড়াও শহর ও মফঃস্বল এলাকায় রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি বাস পরিষেবা। এছাড়াও ট্যাক্সি পরিষেবা ব্যক্তিগতভাবে দ্রুত গন্তব্যে পৌছনোর জন্য একটি ভালো বিকল্প। তবে এতে খরচ বেশি। তবে এই খরচের সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে দিয়েছে কিছু মোটর বাইক সংস্থা। কম খরচে বাইক বুক করে দ্রুত পৌঁছানো যায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে। এককথায় এখন রাজ্যের বুকে কোটি কোটি গাড়ি চলে। তবে বাস পরিষেবা হল সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয়।
কিন্তু এই বাস পরিবহন ব্যবস্থায় ও এক সমস্যা দেখা দেয়। এখনো রাজ্যের হুকে অনেক রুটে পর্যাপ্ত বাস চলে না। চললেও বেসরকারি বাস চলে। এখনো জেলায় জেলায় আন্তঃ পরিবহন ব্যবস্থায় সরকারি বাস সেভাবে চলে না। তবে বাস চললেও বাসের মধ্যে দেখা দেয় ও এক সমস্যা। আর তার মধ্যে মূল সমস্যা হল বাস ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে। কারণ ৫ টাকা বা ১০ টাকার ক্ষুদ্র বাস ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেকে কন্ডাক্টারকে বড় নোট দিয়ে থাকেন অনেক যাত্রীরা। এক্ষেত্রে খুচরো নিয়ে বাকবিতণ্ডা দেখা যায় বাসের মধ্যে। এমনকি এই সমস্যার কারণে অনেক যাত্রীকে মাঝপথে নামিয়েও দিতে হয়।
তবে এবার বাসের মধ্যে এই খুচরো সংকট মেটাতে দারুন ব্যবস্থা গ্রহণ কিরতে চলেছে রাজ্য পরিবহন দফতর। জানা গেছে, রাজ্য সরকারের পরিবহন দফতরের এই সিদ্ধান্তে যেমন উপকৃত হবেন বাস যাত্রীরা, একইভাবে এর লাভ পাবেন বাসের কন্ডাক্টার সহ বাস কর্মীরা। কিন্তু কি এই ব্যবস্থা? জানা গেছে, এবার থেকে বাসের টিকিট বুক করা যাবে আগের থেকে। টিকিট বুক করলে অনলাইনে পেমেন্ট করার অপশন থাকে। তাই এক্ষেত্রে খুচরো নিয়ে ঝামেলা আটকানো যাবে। তবে কিভাবে এই পরিষেবা দেওয়া হবে তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
তবে সব বাসে কিন্তু এই পরিষেবা মিলবে না এক্ষুনি। জানা গেছে, শুধুমাত্র সরকারি বাসেই এই টিকিট বুকিংয়ের সুবিধা মিলবে এখন। তবে কলকাতা ও শহরতলির সরকারি বাসে এই পরিষেবা আগে চালু হবে। তাহলে বেসরকারি বাসে কি এই ঝামেলা মিটবে না? এই পরিষেবা বেসরকারি বাসে চালু করার মতো পরিকাঠামো এই মুহূর্তে নেই। তবে, এক্ষেত্রে সমাধানের পথ হবে কিউআর কোড। জানা গেছে, শীঘ্রই বেসরকারি বসে কিউআর কোড বসানো হবে। এর মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই অনলাইনে ভাড়া মিটিয়ে দিতে পারবেন।