বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক জনবহুল দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে ভারত। তাই ভারতে নিত্যদিন মানুষের যাতায়াত করতে হয় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। আর বর্তমান সময়ে ভারতীয় রেল আমাদের দেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থায় এক অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। ট্রেনে সফর করে কেউ যান কাজে, কেউ ভ্রমণে, কেউ আবার অন্যান্য দরকারে। সেই কারণে ভারতের রেল নেটওয়ার্ক অন্যতম ব্যস্ত একটি ব্যবস্থা। যাত্রী পরিবহন থেকে শুরু করে দৈর্ঘতার নিরিখে ভারতীয় রেল বিশ্বে চতুর্থ স্থান দখল করে।
ভারতীয় রেলের অধীনে অনেক ধরণের ট্রেন চলে। যেমন লোকাল ট্রেনে শহর বা জেলার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া যায়, তেমনই আবার এক্সপ্রেস ট্রেনে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়া যায়। এর মাঝেই আবার রয়েছে সুপারফাস্ট এবং সেমি-হাইস্পিড ট্রেনও। তবে এত ট্রেন চলা সত্ত্বেও ট্রেনের ঘাটতি নিয়ে দেশজুড়ে যাত্রীদের মধ্যে একটা চাপা অসন্তোষ রয়েই গেছে। বাংলার বুকেও ট্রেনের দাবিতে আন্দোলন নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে এবার বঙ্গবাসীকে খুশি করতে চলে রেল।
সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের আগেই একটি নতুন ট্রেন পাবে বাংলা। আর ভোটের আগেই গড়াবে এই নতুন ট্রেনের চাকা। তবে লোকাল নয়, একটি ব্র্যান্ড নিউ এক্সপ্রেস ট্রেন চলবে বাংলার বুকে। এর ফলে লাখ লাখ মানুষের অনেক সমস্যা দূর হবে বলে জানা গেছে। আর এই ট্রেনটি চলবে উত্তরবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন বালুরঘাট থেকে। এই মর্মে, মঙ্গলবার বালুরঘাট স্টেশনের পিট ও সিক লাইন পরিদর্শন করেন কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। পরিদর্শন শেষে তিনিই এই সুখবর দিয়ে হলেন যে শীঘ্রই বালুরঘাট থেকে গুয়াহাটি রুটে একটি নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে ট্রেনের সমস্যা আজও রয়ে গেছে। কারণ বালুরঘাট থেকে শিলিগুড়ি অবধি একটিই মাত্র ইন্টারসিটি ট্রেন চলে। এছাড়াও, বর্তমানে কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন চলে বালুরঘাট থেকে। এর মধ্যে সবথেকে পুরানো ট্রেন গৌড় লিঙ্ক-কে নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে নানারকম ক্ষোভ রয়েই গেছে। এছাড়াও এই স্টেশন থেকে চলা তেভাগা এক্সপ্রেস ও হাওড়া-বালুরঘাট এক্সপ্রেস ট্রেনদুটি রোজ চলে না। এছাড়াও বালুরঘাট থেকে গুয়াহাটির সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।