শিক্ষা হল জাতির মেরুদন্ড। তাই শিক্ষা যেমন সকলের অধিকার, তেমনই সকলের কাছে আবশ্যক একটি বিষয়। তাই ছাত্রছাত্রীরা হল দেশের ভবিষ্যৎ। দেশের শিল্প থেকে প্রযুক্তি, বিজ্ঞান থেকে গবেষণা, সবকিছুর আগামীর পথ তৈরি হয় পড়ুয়াদের মাধ্যমেই। তবুও এখনো আমাদের দেশের অনেক জায়গাতেই শিক্ষার আলোটুকু পৌঁছায় নি। কোথাও আবার শিক্ষার আলো পৌঁছালেও প্রবেশ করেনি উন্নত প্রযুক্তি ও পদ্ধতি। আর সেই কারণে রাজ্যের এমন সব এলাকাতেও শিক্ষার সবটুকু সুবিধা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার।
আর সেই শিক্ষার প্রধান আলয় হল স্কুল। স্কুলকে শিক্ষার মন্দির বলে থাকেন অনেকেই। তাই শিশুর জন্মের পর তাকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার পাশাপাশি থাকে সঠিক সময়ে স্কুলে পাঠানো অভিভাবকদের একান্ত কর্তব্য। তবে অনেকেরই রয়েছেন যারা শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব হয়না। তাই সব পড়ুয়া শিশুদের পুষ্টি বজায় রাখতে মিড-ডে মিল প্রকল্প চালু হয়। এখন স্কুলে গেলেই পড়ুয়াদের দুপুরের খাবার দেওয়া হয়। আর এবার এই মিড-ডে মিল প্রকল্পের মেনু নিয়ে এল এক বড় আপডেট।
রবিবার ছিল পয়লা বৈশাখ। এই দিনটিতে স্কুল বন্ধ ছিল। তবে সোমবার থেকে খুলেছে স্কুল। আর সোমবার স্কুলের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের মেনুতে থাকছে চমক। শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা মোতাবেক এই দিনটিতে পড়ুয়াদের ফ্রায়েড রাইস, মাংস, মাছ, ডিম ও ফল দিতে হবে। শুধু তাই নয়, এই মেনু রান্না হয়ে যাওয়ার পর সেটির ছবি তুলে পাঠাতে হবে শিক্ষা দফতরে। এমনটাই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব সরকারি স্কুলে। তবর এক্ষেত্রে জেলাভিত্তিক আলাদা আলাদা মেনু হতে পারে। পড়ুয়ার সংখ্যা ও বাজারের পরিস্থিতি বিচার করেই এই ভিন্নতা আনা যাবে বলে জানা গেছে।
যদিও এই নির্দেশিকা দেওয়া হলেও তার জন্য অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হয়নি স্কুলে স্কুলে। তাই বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যেই এই মেনু করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্কুল শিক্ষকদের। তাই ভোটের আগে এমন নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শিক্ষক সংগঠন থেকে। এই মর্মে শিক্ষক নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের পর মাংস ভাত খাওয়ার নিয়ম উঠে যায়। সারা বছর যে খাবার দেওয়া হয়, তাতে পড়ুয়াদের পুষ্টি সম্পূর্ণ হয় না।” এর জন্য টাকার প্রসঙ্গে এই শিক্ষক নেতা বলেন, “কোথা থেকে আসবে টাকা? এভাবে কি ভোটের আগে অভিভাবকদের সমবেদনা পেতে চাইছে সরকার?”