‘ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো’ প্রকল্পের আওতায় গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো রেল চালানোর বিষয়ে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা এই সুড়ঙ্গে আলো বসানোর কাজও সম্পন্ন করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, গঙ্গার নিচের অংশে জ্বালানো হবে নীল রংয়ের আলো। এর মাধ্যমে যাত্রীরা নদীর নীচে সফরের মজা নিতে পারেন। তবে এইসব কাজ পরিদর্শন করে মাসখানেক আগে গ্রীন সিগন্যাল দেন নি রেলের সেফটি কমিশনার। কারণ, সেই সময় সেখানে সুরক্ষার একাধিক গাফিলতি ধরা পড়েছিল বলে খবর। সেই কারণে ফের অপেক্ষার প্রহর বেড়ে যায় এই রুট চালু হওয়ার জন্য।
এই রুটে যাত্রী পরিবহন বিপুল পরিমাণ হতে পারে বলে অনুমান করছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। কারণ প্রতিদিনই হাওড়া স্টেশন থেকে কলকাতায় আসেন লক্ষ লক্ষ মানুষ, উল্টোদিক থেকেও একই পরিমান যাত্রীদের চাপ থাকবে। তাই এই কথাটি মাথায় রেখেই খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, ১২ মিনিট অন্তর এই রুটে মেট্রো চালাবে রেল কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে এই রুটে মেট্রোর ভিড় সামাল দেওয়া যাবে বলে খবর।
কিন্তু গঙ্গার নীচে মেট্রোর ভাড়া কত হবে? এবার এই বিষয়টি নিয়ে একটি তথ্য সামনে এল, যা শুনে আনন্দে লাফিয়ে উঠবেন যাত্রীরা। কারণ, এবার মাত্র ৫ টাকাতেই মেট্রোর মাধ্যমে গঙ্গা পার করে সম্ভব হবে। কিন্তু কিভাবে এত কম ভাড়ায় মেট্রো যাত্রা করা যাবে? যেখানে বাসে করে গঙ্গা পেরোতে খরচ হয় ১২ টাকা থেকে ১৫ টাকা এবং জেটি পারাপারেও খরচ হয় ১০ টাকার কাছাকাছি, সেখানে মেট্রোতে করে মাত্র ৫ টাকাতেই এই যাত্রাপথ সম্পন্ন হবে বলে খবর মিলেছে।
উল্লেখ্য, কলকাতা মেট্রোয় ২ কিলোমিটার অবধি যাত্রা করতে ভাড়া গুনতে হয় ৫ টাকা। এদিকে হাওড়া স্টেশন থেকে গঙ্গার তলা দিয়ে মহাকরণ স্টেশন অবধি পৌঁছতে যাত্রীদের মাত্র ৫২০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। সেই কারণেই মেট্রোয় চড়ে গঙ্গাপার করা যাবে মাত্র৫ টাকাতেই। একইভাবে কলকাতা মেট্রোয় ২ থেকে ৫ কিলোমিটার যেতে ভাড়া দিতে হয় ১০ টাকা। এদিকে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের দূরত্ব ৪.৮ কিলোমিটার। সেক্ষেত্রে এই দুটি স্টেশনের মাঝে যাত্রীদের ভাড়া হবে মাত্র ১০ টাকা।