আজ থেকে কুড়ি বছর পর আপনি এই ভেবে হতাশ হবেন যে, আপনার পক্ষে যা যা করা সম্ভব ছিল তা করতে পারেননি। তাই নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে পড়ুন। আবিষ্কারের জন্য যাত্রা করুন, স্বপ্ন দেখুন আর শেষমেশ আবিষ্কার করুন। ভ্রমণ সম্পর্কে এমনটা বলে গেছেন প্রখ্যাত আমেরিকান লেখক মার্ক টোয়েন। ভ্রমণ হল সাধারণ জ্ঞানের অন্যতম উৎস। তাই হাজার বার শোনার চেয়ে ১ বার দেখা ভালো। পাশাপাশি, জীবনে বেচে থাকার জন্য অনেক সাহস দরকার। এই সাহসই বলুন বা দেখার ইচ্ছেপূরণ, ভ্রমণ আপনাকে সবটাই এনে দিতে পারে।
আর এই বসন্তের শুরুতে এববগ দোলের সময় কেউ কেউ বাইরে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন। এক্ষেত্রে কারো গন্তব্য যেমন হবে পাহাড়, কারো সমুদ্র, কারো ঐতিহাসিক স্থান, কারো ধর্মীয় স্থান, কারো আবার কখনো কোনো শান্ত জায়গা। এর মাঝে অনেকেই বিদেশ ট্যুরে কিংবা ভিনরাজ্যের কোনো দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। অনেকেই আবার কাছেপিঠের কোনো সুন্দর জায়গা খুঁজছেন নেন হলিডে ডেস্টিনেশন হিসেবে। সেখানেই দিনকয়েক কাটিয়ে আবার শুরু হবে কর্মব্যস্ততা।
বাঙালির কাছেপিঠের সুন্দর জায়গার অন্যতম হল দার্জিলিং ও দীঘা। উত্তরবঙ্গে অবস্থিত ছবির মতো শহর দার্জিলিংকে বাংলার পর্যটন শিল্পের অন্যতম আধার হিসেবে ধরা হয়। দার্জিলিংয়ে বছরের নানা সময়ে হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমান। এদিকে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি অবধি দীঘায় সবথেকে বেশি ভিড় হয়। তবে অনেক সময় এমন সব জানাশোনা গন্তব্য ছাড়া অজানা কিছু সুন্দর স্থানে ঘুরতে যেতে অনেকে আবার পছন্দ করেন। তাদের জন্য দারুন ডেস্টিনেশন হবে পূর্ব বর্ধমানের এই আল্পনা গ্রাম, যেখানে গেলে আপনি ময়ূরের দর্শন পাবেন।
কথা বলছি পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম-২ ব্লকের দেবশালা গ্রামে অবস্থিত লবণধার আর্ট ভিলেজ সম্পর্কে। এই গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ির দেওয়ালে সুন্দর সুন্দর সব আল্পনা আঁকা দেখতে পাবেন। লবণধার অন্নপূর্ণা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি সংস্থা এই আল্পনা আঁকার কাজ করে চলেছে। এছাড়াও গ্রামের পাশে অবস্থিত এক টুকরো জঙ্গলমহলে ময়ূরের দেখা মিলবে। এখানে যাওয়ার জন্য হাওড়া থেকে বর্ধমান লোকাল ট্রেন ধরুন। আপনাকে নামতে হবে মানকর স্টেশনে। এই স্টেশন থেকে আর্ট ভিলেজের দূরত্ব ১১ কিমি। স্টেশনে অটো রিক্সা বা প্রাইভেট গাড়ি বুক করে গ্রামে পৌঁছাতে পারবেন।