প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Laxmir Bhandar: আরো তাড়াতাড়ি অ্যাকাউন্টে ঢুকবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা, যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত রাজ্যের

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্তর উন্নীত করার লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুগান্তকারী প্রকল্প হল 'লক্ষ্মীর ভান্ডার'। ২০২১ সালে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে এই প্রকল্পের রূপায়ন ঘটান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্তর উন্নীত করার লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুগান্তকারী প্রকল্প হল ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। ২০২১ সালে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে এই প্রকল্পের রূপায়ন ঘটান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী ইস্তাহারে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি মেনে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পটি চালু করেছিল তৃণমূল সরকার। এই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে চরম সাফল্য পেয়েছে রাজ্য সরকার। গোটা দেশে এমনকি আন্তর্জাতিক মঞ্চেও সমাদৃত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিস্কপ্রসূত এই প্রকল্প। এমনকি এই মডেলকে অনুসরণ করে বিভিন্ন রাজ্যে এমন সব প্রকল্প নিজেদের নির্বাচনী ইস্তেহারে সংযুক্ত করছে রাজনৈতিক দলগুলি।

রাজ্যের সমস্ত মহিলাদের হাতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা তুলে দেওয়া হয়। তবে সরকারি চাকুরিজীবী মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পান না। এতদিন অবধি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ কম ছিল। এতদিন অসংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা এই প্রকল্পের আওতায় মাসে ৫০০ টাকা এবং সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা মাসে ১,০০০ টাকা পেতেন। তবে আগামী অর্থবর্ষের জন্য রাজ্য কর্তৃক প্রদত্ত বাজেটে এই প্রকল্পের টাকা বাড়ানো হয়। এখন থেকে অসংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে পাচ্ছেন ১,০০০ টাকা এবং সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা মাসিক ১,২০০ টাকা পাচ্ছেন।

বাজেটে রাজ্য সরকার কর্তৃক নেওয়া এই সিদ্ধান্ত যে বাংলার মহিলাদের খুশি করেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এবার থেকে এই প্রকল্পের সুবিধা আরো সুচারুভাবে দিতে বড় পদক্ষেপ নিলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। জানা গেছে, এবার থেকে রাজের অর্থ মন্ত্রকের অনুমোদন ছাড়াই এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হবে গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। অর্থাৎ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারি বিলম্বে যে গ্রাহকদের টাকা আটকের যাওয়ার সমস্যা দেখা দিত, তা এবার অনেকাংশে মিটে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সাধারণ নিয়মানুযায়ী, এইসব সরকারি প্রকল্পের টাকার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ শুধুমাত্র তখনই গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হত, যখন গ্রাহকের সবটা যাচাই করার পর অর্থ দফতরের তরফে গ্রীন সিগন্যাল পাওয়া যেত। তবে এবার থেকে সেই নিয়মের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হল। তাই এবার থেকে এইসব প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কাজে গতি আসবে বলে মনে করছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে এই সুবিধা চালু করা হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষকবন্ধু ও জয় বাংলা পেনশন- এই তিনটি প্রকল্পের উপর।