প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Pension: পেনশন নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, রাজ্যের কর্মীদের জন্য বড় আপডেট

কর্মজীবনের পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরেও আসে বার্ধক্যজনিত ক্লান্তির ছাপ। সেই সময় কাজের বিষয়ে আর সক্রিয়তা থাকেনা। এই বয়সটিকে অনেকেই অবসর জীবন বলে থাকেন। এই অবসর জীবনে এসে…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

কর্মজীবনের পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরেও আসে বার্ধক্যজনিত ক্লান্তির ছাপ। সেই সময় কাজের বিষয়ে আর সক্রিয়তা থাকেনা। এই বয়সটিকে অনেকেই অবসর জীবন বলে থাকেন। এই অবসর জীবনে এসে সিংহভাগ মানুষের উপার্জন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তখন ছেলে বা মেয়ের উপর নির্ভরশীল হওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। কারণ তখনো তো আর খরচ থেমে থাকে না। তবে সেটি যাতে না হতে হয়, সেজন্যই রয়েছে পেনশন ব্যবস্থা।

বিগত দশক অবধি দেশের সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের পর পেনশন দেওয়া হত। বিভিন্ন বেসরকারি ক্ষেত্রেও বিষয়টি চালু ছিল। তবে বিগত সময়ে অনেক সরকারি চাকরিতেও পেনশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যারা আগেই নিয়োজিত হয়েছিলেন কোনো কাজে, তারা এখনো পেনশন পাচ্ছেন। আর এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের পেনশন সংক্রান্ত একটি মামলায় বড় পর্যবেক্ষণ শোনালো কলকাতা হাই কোর্ট। মৃত ছেলের পেনশন নিয়ে এক মায়ের করা মামলায় এই পর্যবেক্ষণ সামনে এল। আর এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়তে পারেন।

কয়েকমাস আগেই কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে একটি এই সংক্রান্ত মামলা ওঠে। এই মামলা করেছিলেন এক মৃত প্রাথমিক শিক্ষকের মা। মামলাকারী ওই মহিলার অভিযোগ ছিল যে তার ছেলের মৃত্যুর পর ছেলের চাকরি পেয়েছে তার পুত্রবধূ। এমনকি তার মৃত ছেলের চাকরির পেনশনের টাকাও বৌমাই নেয়। এই অবস্থায় ওই বিধবা গৃহবধূ বাপের বাড়িতে গিয়ে আবার বিয়ে করেন। এমনকি মৃত স্বামীর পেনশনের টাকা ও চাকরির সুবিধা ভোগ করলেও তা থেকে বঞ্চিত করেছে তার শাশুড়িকেই। আর এই মামলায় বিচারপতি পর্যবেক্ষণ শুনিয়ে বলেন যে মৃত ছেলের পেনশনে সমান অধিকার রয়েছে তার মায়ের। আর সেই টাকা মৃত শিক্ষকের মা’কে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার। জানা গেছে, পিংলার একটি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতার কাজ করতেন বজ্রদুলাল মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ২০১৪ সালে কর্মরত অবস্থায় তার মৃত্য হয় বজ্রাঘাতে। তারপর থেকেই মৃত শিক্ষকের বিধবা স্ত্রী কৃষ্ণা পাত্র মণ্ডলকে সরকারি নিয়মানুযায়ী গ্রুপ-সি পদে একটি চাকরিতে নিয়োগ করা হয়। সেই সময় শাশুড়ির দেখভালের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কারণে তাকেই দেওয়া হয় পেনশনের টাকা। কিন্তু কিছুদিন পরেই কৃষ্ণা দেবী বাপের বাড়ি চলে যান এবং আরেকটি বিয়ে করেন। একইসঙ্গে তিনি শাশুড়িকে পেনশনের টাকা থেকেও বঞ্চিত করেন। সেই কারণেই মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে।