প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

ED Raid: ইডি’র অভিযানে নিঃস্ব জ্যোতিপ্রিয়! একদিনে সিজ করা হল বাড়ি, গাড়ি জমি-জমা, সবই

রেশন দুর্নীতি মামলা নিয়ে বিগত সময়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই মামলায় কয়েকমাস আগেই রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। একাধিক জেলায় শুরু হয় ইডি অফিসারদের হানা। আগেও…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

রেশন দুর্নীতি মামলা নিয়ে বিগত সময়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই মামলায় কয়েকমাস আগেই রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। একাধিক জেলায় শুরু হয় ইডি অফিসারদের হানা। আগেও এবার একের পর এক কারখানা ও কোম্পানিতে হানা দিয়েছেন ইডি অফিসাররা। এই অভিযান শুরু হয় গত বছর ৪ নভেম্বর। ওইদিন বনগাঁর কালুপুরের রাধাকৃষ্ণ ফ্লাওয়ার মিলে হানা দেয় ইডি। ওই মিলের মালিক মন্টু সাহা এবং কালীদাস সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়াও তাদের বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি চালানো হয়। কারণ, এই দুই ব্যক্তির সঙ্গে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যোগসূত্র ছিল বলে জানা গিয়েছিল ইডি সূত্রে।

আর এবার জ্যোতিপ্রিয় সূত্র ধরেই এক বড় আর্থিক দুর্নীতিরও সন্ধান পেয়েছিল ইডি। এর মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার একটি বিশেষ সিস্টেমের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। এর মাধ্যমে কালো টাকাকে বিদেশি মুদ্রায় পরিবর্তন করে সেগুলিকে বিদেশি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হত। এভাবে গত ২০১৪-১৫ সাল থেকে মোট ৩৫০ কোটি টাকা বাংলাদেশ হয়ে দুবাই পাঠানো হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ইডি। একইসঙ্গে তল্লাশি চালিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমান এবং শংকর আঢ্যর বিভিন্ন সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

শুক্রবার, রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের নানা আস্তানায় হানা দেন ইডি অফিসাররা। তারপর সব মিলিয়ে মোট ৪৮টি অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। জানা গেছে, এর মধ্যে রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেক ও বোলপুরে বাড়ি, গাড়ি এবং বেশ কিছু বেনামী সম্পত্তি। পাশাপাশি বালু যে কয়েকটি অস্থাবর সম্পত্তি পরিবার বা প্রিয়জদের থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন, সেগুলোও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, অভিযুক্ত বাকিবুর রহমানের কলকাতা ও বেঙ্গালুরুরর দু’টি হোটেল, প্রচুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিটও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

তবে শুধুমাত্র রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের আস্তানা নয়, এদিন একইসঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্তদের নানা সম্পত্তিতে হানা দেয় ইডি। জানা গেছে, এদিনের অভিযানে ইডি অফিসাররা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়ের পাথরঘাটার ৯৬ কাঠা জমি, সুলতানপুরের ১১৭ কাঠা জমি, মহেশতলার ২৮২ কাঠা জমি, নিউ টাউনের ১৩৬ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করেছে। এছাড়াও অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিংহের পূর্ব যাদবপুরের একটি বেনামী ফ্ল‌্যাট এবং কাপাসহাটিতে দু’টি জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যার মোট মূল্য ২৩০ কোটি টাকারও বেশি।