দুর্গাপূজা হোক বা শীতের ছুটি, কাজ থেকে ফুরসৎ মিললেই অনেকে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। কখনও গন্তব্য হয়ে থাকে পাহাড়, কখনো সমুদ্র, কখনো ঐতিহাসিক স্থান, কখনো ধর্মীয় স্থান, আবার কখনো কোনো শান্ত জায়গা। এর মাঝে অনেকেই যান বিদেশ ট্যুরে, কেউ আবার ভিনরাজ্যে কোনো দর্শনীয় স্থান যেতে পছন্দ করেন। অনেকেই আবার কাছেপিঠের কোনো সুন্দর জায়গা খুঁজে নেন হলিডে ডেস্টিনেশন হিসেবে। সেখানেই দিনকয়েক কাটিয়ে আবার সাধারণ জীবনে ফিরতে হয়।
এদিকে প্রকৃতি জানান দিচ্ছে বসন্ত এসে গেছে। সামনেই রংয়ের উৎসব দোলযাত্রা। আগামী ২৫ শে মার্চ দোলযাত্রা। তাই এই সময়ের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন বাঁকুড়া থেকে। বাঁকুড়া স্টেশনে নেমেই আপনি ঘুরে দেখতে পারবেন অনেক জায়গা। এখানে যেমন পাবেন প্রকৃতি নিখাদ সৌন্দর্যের দর্শন, তেমনই সাক্ষী হবেন পলাশের রঙ্গিন বসন্তের। একইভাবে শিল্পকর্মের ছোঁয়া পাবেন অনেক জায়গায়। একনজরে দেখে নিন, বাঁকুড়া জেলায় কি কি ঘুরে দেখার জায়গা রয়েছে।
মোটামুটি দুদিনের ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন বাঁকুড়ার উদ্দেশ্যে। হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে খড়্গপুর হয়ে বাঁকুড়া আসতে পারেন। কিংবা ধর্মতলা ও ডানলপ থেকে সরাসরি বাস ধরে নিতে পারেন। বাঁকুড়ায় নেমেই প্রথমেই যায়নি যেতে পারেন শুশুনিয়া পাহাড়ে। গাড়ি ভাড়া করে এক ঘন্টার পথ স্টেশন থেকে। শুশুনিয়া পাহাড় ঘুরে সেখান থেকে চলে যান শিউলিবনা ও ভরতপুর গ্রামে। এই দুই গ্রামে মাটির বাড়ির দেওয়ালে সুন্দর সুন্দর ছবি আপনার মন ভরিয়ে দেবে। সেখান থেকে গাংদুয়া ড্যাম ঘিরে নিতে পারেন। কাছেই আবার পেয়ে যাবেন কোরো পাহাড়। সেখান থেকে ফিরে এসে ছাতনার রাজবাড়ী ও প্রাচীন বাসুলি মন্দির ঘুরে নিতে পারেন। গাড়িতে করে একদিনে এই স্থানগুলি দেখে নিন। বাঁকুড়া ফিরে হোটেলে রাত কাটান।
পরদিন সকালেই হোটেল ছেড়ে গাড়ি ভাড়া করে বেরিয়ে পড়ুন মুকুটমণিপুরের উদ্দেশ্যে। বাঁকুড়া থেকে ঘন্টাখানেকের পথ। সেখানে কংসবতী ড্যাম এবং আশেপাশের পাহাড়, ডিয়ার পার্ক ঘুরে দেখুন। মুসফিরানা ভিউ পয়েন্টে যেতে পারেন। এবার মুকুটমণিপুর থেকে ২৫ কিলোমিটার গেলেই সারেঙ্গা ব্লকে পেয়ে যাবেন বড়দি পাহাড়। প্রকৃতির দারুন ছোঁয়া পাবেন এখানে। এবার এখান থেকে সোজা রাণীবাঁধ বা ঝিলিমিলি হয়র সোজা পৌঁছে যান সুতান ফরেস্টে। এখানের জঙ্গল আপনার মনে জায়গা করে নেবে। ব্যাস, এসব ঘুরে পরদিন ফিরে যেতে পারবেন। তবে চোখে তখনো ভাসবে রাঢ়রাণী বাঁকুড়ার অপরূপ সৌন্দর্য্য।