বর্তমান সময়ে ভারতীয় রেল আমাদের দেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থায় এক অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। ভারতীয় রেলে অনেক ধরণের ট্রেন চলে। সাধারণ পরিবহনের জন্য যেমন রয়েছে লোকাল বা এক্সপ্রেস ট্রেন, তেমনই আবার ভারতীয় রেল এমন কিছু ট্রেন চালায়, যা বিলাসবহুল হয় এবং সেগুলি একটি বিশেষ রুটেই চলে। তবে মূলত এক্সপ্রেস বা সুপারফাস্ট ট্রেনকেই দূরের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বেছে নেন অনেকেই। কিন্তু কম খরচে সময় বাঁচিয়ে কাছের কোনো গন্তব্য যাওয়ার জন্য লোকাল ট্রেনের বিকল্প নেই।
কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী কিছু শহর ও মফঃস্বল এলাকায় যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হল লোকাল ট্রেন। লাখ লাখ মানুষকে ভরসা যোগায় এই ট্রেনগুলি। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে যেমন এইসব লোকাল ট্রেন যায় ক্যানিং, বজবজ, বারাসাত অবধি, তেমনই আবার শান্তিপুর বা কল্যাণী অবধি যাওয়ার জন্যও রয়েছে একাধিক লোকাল ট্রেন। আর কল্যাণী রুটের সবথেকে জনপ্রিয় ট্রেন হল শিয়ালদহ-কল্যাণী সীমান্ত ট্রেনগুলি। কিন্তু এইসব ট্রেনের স্টপেজ নিয়ে এতদিন নিত্যযাত্রীদের আন্দোলন চোখে পড়েছে স্টেশনে স্টেশনে। তবে এবার বিষয়টিকে নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে পূর্ব রেল।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে শিয়ালদহ-কল্যাণী সীমান্ত ট্রেনগুলি, যেগুলি এতদিন শিয়ালদহর পর দমদমে স্টপেজ দিত, সেগুলি এবার থেকে বিধাননগর রোড স্টেশনেও দাঁড়াবে। আগামী ১২ ই ফেব্রুয়ারি, সোমবার থেকেই ট্রেনগুলি বিধাননগর রোডে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে রেল। এই মর্মে শুক্রবার পূর্ব রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, ‘বিধাননগর স্টেশনে দেখা যায় যে বাড়ি ফেরার জন্য প্রচুর নিত্যযাত্রীরা অপেক্ষা করছেন। সেই কথা মাথায় রেখে পূর্ব রেলওয়ে শিয়ালদহ-কল্যাণী সীমান্ত লোকালের যেটি শিয়ালদহ থেকে সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিট ছাড়ে, সেই ট্রেনটির স্টপেজ বিধাননগর স্টেশনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই স্টপেজ দেওয়া হবে। ট্রেনটি বিধাননগর স্টেশনে এসে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭ টা ১৭ মিনিটে। এতদিন এই ট্রেনটির বিধাননগরে কোনও স্টপেজ ছিল না।’
তাহলে কোন ট্রেনটি দাঁড়াবে বিধাননগর রোডে? রেল জানিয়েছে ৩১৩৩৭ শিয়ালদা-কল্যাণী সীমান্ত সুপার লোকাল ট্রেনটি দাঁড়াবে দমদমের আগের এই স্টেশনে। অর্থাৎ শিয়ালদহর পর এই ট্রেন যে যে স্টেশনে থামবে সেগুলি হল, বিধাননগর রোড, দমদম জংশন, সোদপুর, ব্যারাকপুর, পলতা, শ্যামনগর, নৈহাটি জংশন, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, কল্যাণী, কল্যাণী শিল্পাঞ্চল, কল্যাণী ঘোষপাড়া এবং কল্যাণী সীমান্ত। অর্থাৎ, যে ট্রেন শিয়ালদহ থেকে সন্ধ্যা ৭:১০-এ ছাড়বে, তা কল্যাণী সীমান্ত স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ৮:৩৯-এ।