প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Electricity Bill: ইলেকট্রিক অফিসের ভেতরেই প্রতারণা, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ধাপ্পাবাজি দুই কর্মীর

আজকালকার দিনে ইলেকট্রিক ছাড়া আমাদের জীবনকে কল্পনা করাটাও যেন অসম্ভব একটি বিষয়। কারণ ইলেকট্রিক থেকেই এখন সবকিছু চলে। যাতায়াতের রেল থেকে নিত্যদিন ব্যবহারের মোবাইল চার্জ, সবকিছুর জন্যই আবশ্যিক একটি জিনিস…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

আজকালকার দিনে ইলেকট্রিক ছাড়া আমাদের জীবনকে কল্পনা করাটাও যেন অসম্ভব একটি বিষয়। কারণ ইলেকট্রিক থেকেই এখন সবকিছু চলে। যাতায়াতের রেল থেকে নিত্যদিন ব্যবহারের মোবাইল চার্জ, সবকিছুর জন্যই আবশ্যিক একটি জিনিস হল ইলেক্ট্রিসিটি। এদিকে ভারতের মোটামুটি সব প্রান্তেই এখন ইলেকট্রিক সংযোগ সম্পুর্ন হয়েছে। ফলে রাত নামলেই দেশের প্রত্যন্ত যেসব গ্রামে আগে নেমে আসতো নিকষ কালো অন্ধকার, সেখানেও আজ জ্বলছে বৈদ্যুতিক বাতি।

কেন্দ্র সহ বেশ কিছু রাজ্য সরকার দরিদ্র নাগরিকদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ কানেকশন দিয়েছে। কিন্তু তারপর বিদ্যুতের মাসিক বিল গুনতে হয় সকলকেই। এর মাঝে অনেক গরিব মানুষ বিল পরিশোধ করতে পারেন না। নানা কারণে মাসের পর মাস তাদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হতে শুরু করে। একসময় তা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যেখান থেকে বিদ্যুতের বিল দিতে গিয়ে ঘরবাড়ি বিক্রি করার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবর এবার এমম ঘটনা ঘটল আমাদের রাজ্যে, যা দেখলে আপনিও ভয় পাবেন। কারণ ইলেকট্রিক বিল জমা দিয়েও জমা দিতে পারলেন না অনেক দরিদ্র গ্রাহক।

ঘটনাটি পশ্চিম বর্ধমান জেলার। এই জেলার কুলটির নিয়ামতপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একাধিক বাড়িতে ঘটেছে এই ঘটনা। জানা গেছে, এই এলাকার কয়েকটি বাড়িতে বিদ্যুতের বিল আসে মাসখানেক আগেই। বিলের অঙ্ক দেখে সেই মোতাবেক টাকা জমাতে শুরু করে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলি। হাতে টাকা জমা হলে তারপর তারা বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে যায় বিল জমা দিতে কিন্তু সেখানেই দুজন কর্মী তাদের থেকে টাকা নিয়ে হাতে লিখে রাখে এবং রশিদ পদে দেবে বলে জানায়। এদিকে সাধারণ মানুষ সেটাকেই সত্যি ভেবে বাড়ি ফিরে আসে।

এবার আসল দুর্নীতি সামনে এসে যখন বিদ্যুৎ দফতরের অফিসের লোকজন বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসেন। কারণ বিদ্যুতের বিল জমা না দিলে এমনটাই হওয়া উচিত নিয়মানুযায়ী। তখন বিল জমা দেওয়া মানুষজন বুঝতে পারেন যে তারা প্রতারিত হয়েছেন। আদেও তাদের দেওয়া টাকা বিদ্যুতের বিল হিসেবে জমা দেওয়া হয়নি। বরং সেগুলি অভিযুক্ত দুজনের পকেটস্থ হয়েছে। অভিযুক্তরা নাকি সেটি স্বীকারও করেছে পুলিশের সামনে। তাই বিল জমা দেওয়ার পর সবসময় প্রিন্টেড রশিদ নিয়ে তবেই কাউন্টার ছাড়ুন। তাছাড়া এভাবেই প্রতারিত হতে পারে যে কেউ।