বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক জনবহুল দেশ ভারত। তাই ভারতে নিত্যদিন মানুষের যাতায়াত করতে হয় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। আর বর্তমান সময়ে ভারতীয় রেল আমাদের দেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থায় এক অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। যাত্রী পরিবহন থেকে শুরু করে দৈর্ঘতার নিরিখে ভারতীয় রেল বিশ্বে চতুর্থ স্থান দখল করে। সুদূর জম্মু থেকে কন্যাককুমারী, আসাম থেকে রাজস্থান- সর্বত্র বিছিয়ে রয়েছে রেলের যোগাযোগ। আর এই বিশাল দেশে রেল ব্যবস্থা চালু রয়েছে বছরের সবকটি দিনই।
রেলকে অন্য আঙ্গিকে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে যেমন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো সেমি-হাইস্পিড ট্রেন চালু করা হয়েছে, তেমনই আবার ট্রেনের ট্র্যাকগুলিকে নবরূপে গঠন করা হচ্ছে কোনরূপ দুর্ঘটনা এড়াতে। তবে এর পাশাপাশি, দেশের স্টেশনগুলিকে সাজিয়ে তুলতে অমৃত ভারত স্কিম চালু হচ্ছে গোটা দেশে। ভারতীয় রেলের এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সব স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে অন্যরূপে। অত্যাধুনিক পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি যাত্রীদের সুবিধার্থে নানা ব্যবস্থা চালু হচ্ছে স্টেশনে স্টেশনে। আর এবার যাত্রী সুবিধার্থে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করল রেল।
পূর্ব রেল জানিয়েছে যে জানুয়ারি থেকেই একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে একাধিক ডিভিশনে। এর মধ্যে যেমন চালু করা হচ্ছে একাধিক ট্রেন, তেমনই আবার অনেক স্টপেজ বাড়ানো হচ্ছে। একইসঙ্গে ট্রেনের রুট বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও ট্রেনে বাড়ানো হচ্ছে কোচের সঙ্গে। পূর্ব রেল জানিয়েছে যে যে দুটি ট্রেন বাড়ানো হচ্ছে সেগুলি হল ১৩১৮৯/১৩১৯০ শিয়ালদহ-বালুরঘাট শিয়ালদহ এক্সপ্রেস এবং ১৩৩৩৩/১৩৩৩৪ পাটনা-দুমকা পাটনা এক্সপ্রেস। এছাড়াও ট্রেনে ৪১৫ টি অতিরিক্ত কোচ বাড়ানো হয়েছে জানুয়ারি থেকে।
এছাড়াও একাধিক ট্রেনের রুট সম্প্রসারিত করার কথা ঘোষণা করেছে পূর্ব রেল। যে ট্রেনগুলির রুট বাড়ানো হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল, ১৮৬১৭/১৮৬১৮ রাঁচী-নিউ গিরিডি এক্সপ্রেস, যার রুট মধুপুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। এছাড়াও ১৩৪১৩/১৩৪১৪ ও ১৩৪৮৩/১৩৪৮৪ মালদা টাউন-দিল্লি ফারাক্কা এক্সপ্রেস ট্রেনটির রুট ভাতিন্দা জংশন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও পূর্ব রেল জানিয়েছে যে ১১ টি অতিরিক্ত স্টেশনে বেশি ট্রেন দাঁড়াবে। এর ফলে মির্জা চৌকী, বরাকর, দুবরাজপুর, পাকুড়, সহ একাধিক স্টেশনে এখন থেকে বেশি পরিমাণে ট্রেন দাঁড়াচ্ছে।