বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক জনবহুল দেশ ভারত। তাই ভারতে নিত্যদিন মানুষের যাতায়াত করতে হয় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। আর বর্তমান সময়ে ভারতীয় রেল আমাদের দেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থায় এক অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। যাত্রী পরিবহন থেকে শুরু করে দৈর্ঘতার নিরিখে ভারতীয় রেল বিশ্বে চতুর্থ স্থান দখল করে। সুদূর জম্মু থেকে কন্যাককুমারী, আসাম থেকে রাজস্থান- সর্বত্র বিছিয়ে রয়েছে রেলের যোগাযোগ। আর এই বিশাল দেশে রেল ব্যবস্থা চালু রয়েছে বছরের সবকটি দিনই।
বর্তমানে রেলের উন্নতিসাধনের জন্য একাধিক বড়সড় পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় রেল। একদিকে ট্রেনের গতি বাড়ানোর জন্য যেমন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ও অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন লঞ্চ হয়েছে দেশে, তেমনই আবার ট্রেনের লাইনের উন্নতিসাধন ঘটাতে কাজ চলেছে জোরকদমে। তেমনই কাজ চলছে দমদমে। পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখার সঙ্গে যুক্ত এই গুরুত্বপূর্ণ জংশনে ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলছে। সেই কারণেই শনি ও রবিবার বাতিল ছিল এই লাইনের একাধিক লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন। একটানা ৫২ ঘন্টা কোনো ট্রেন চলেনি শিয়ালদহ উত্তর শাখায়। ছুটির দিনে শিয়ালদহ থেকে অন্যান্য রুটে যেতে চূড়ান্ত ভোগান্তি হয় যাত্রীদের।
যদিও এর আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে পূর্ব রেল জানিয়েছিল যে, শনি এবং রবিবার শিয়ালদহের উত্তর শাখার অনেক ট্রেন চলবে না কারণ এই দুদিন দমদম স্টেশনে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ হবে। সেই মোতাবেক দমদম স্টেশনে একটানা ৫২ ঘণ্টা নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলছে। ১৮ মার্চ ভোর ৪টে পর্যন্ত এই কাজ চলবে। এর জন্য ১৪৩টি ট্রেন বাতিল করেছে রেল। শনি ও রবিবার বাতিল রয়েছে শিয়ালদহ-জঙ্গিপুর এক্সপ্রেস, আসানসোল ইন্টারসিটি এবং শিয়ালদহ-সিউড়ি এক্সপ্রেস।
তবে এই কাজ শেষ হলেই বড় সুখবর দিতে চলেছে পূর্ব রেল। কারণ এই শাখায় অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর বিষয়ে গ্রীন সিগন্যাল পাওয়া গেছে উপর মহল থেকে। সম্প্রতি, পূর্ব রেলের মুখ্য সংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান যে শিয়ালদহ শাখার এই সংশ্লিষ্ট রুটে বর্তমানে ২৪৪ টি লোকাল ট্রেন চলে। এই রুটেই আগামীতে ৩৬৪ ট্রেন চালানো যাবে বলে জানান। অর্থাৎ, একসাথে ১২০ টি বাড়তি ট্রেন পাবে এই রুট। এছাড়াও এই কাজ শেষ হলে ট্রেনের গতি বাড়বে বলেও জানিয়েছে পূর্ব রেল।