দুর্গাপূজা হোক বা শীতের ছুটি, কাজ থেকে ফুরসৎ মিললেই অনেকে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। কখনও গন্তব্য হয়ে থাকে পাহাড়, কখনো সমুদ্র, কখনো ঐতিহাসিক স্থান, কখনো ধর্মীয় স্থান, আবার কখনো কোনো শান্ত জায়গা। এর মাঝে অনেকেই যান বিদেশ ট্যুরে, কেউ আবার ভিনরাজ্যে কোনো দর্শনীয় স্থান যেতে পছন্দ করেন। অনেকেই আবার কাছেপিঠের কোনো সুন্দর জায়গা খুঁজে নেন হলিডে ডেস্টিনেশন হিসেবে। সেখানেই দিনকয়েক কাটিয়ে আবার সাধারণ জীবনে ফিরতে হয়।
বাঙালির কাছেপিঠের সুন্দর জায়গার অন্যতম হল দার্জিলিং। উত্তরবঙ্গে অবস্থিত ছবির মতো এই শহরকে বাংলার পর্যটন শিল্পের অন্যতম আধার হিসেবে ধরা হয়। আর এখন শেষের মুখে শীত। বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছে কনকনে ঠান্ডা। তাই এই আবহাওয়ায় দার্জিলিং ট্যুরের প্ল্যান করা বাঙালির সংখ্যাটাও বাড়তে পারে এবছর। অন্যদিকে দীঘা ভ্রমণ নিয়েও ভাবছেন অনেকেই। কারণ, অনেকেই শীতে ঘুরতে যেতে পারেন না নানা কারণে। তাই বসন্তের প্রাক্কালে অনেকেই দীঘা ও দার্জিলিংয়ে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেন।
আর এই সময়ে যেহেতু পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে যায়, সেই কারণে ট্রেনে টিকিট পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। কারণ দক্ষিণবঙ্গ থেকে অর্থাৎ হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গের ট্রেন খুব একটা বেশি নেই। একইভাবে উত্তরবঙ্গ থেকেও দীঘা আসার ট্রেনের সংখ্যাটা কম। সেই কারণেই এইসব ট্রেনের টিকিট পাওয়া দুরূহ হয়ে যায়। তবে এবার এই সমস্যা থেকে যাত্রীদের মুক্তি দিতে উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় রেল। কারণ এবার উত্তরবঙ্গের একটি ট্রেনে বাড়ানো হচ্ছে এসি কোচের সংখ্যা। একইসঙ্গে দীঘা আসার ট্রেনেও বাড়ানো হচ্ছে কোচের সংখ্যা। একনজরে দেখে নিন কোন কোন ট্রেনে বাড়ছে কোচের সংখ্যা।
রেল সূত্রে যেমনটা জানা গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৩১৪১ শিয়ালদহ-নিউ আলিপুরদুয়ার এবং ১৩১৪২ নিউ আলিপুরদুয়ার-শিয়ালদহ তিস্তা তোর্ষা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটিতে একটি করে অতিরিক্ত এসি ৩-টিয়ার এবং একটি অতিরিক্ত কম্পোজিট এসি কোচ বাড়ানো হয়েছে। এদিকে ১৩১৪৮ মালদহ-দীঘা এবং ১৩১৪৭ দীঘা-মালদহ এক্সপ্রেস ট্রেন দুটিতেও স্থায়ী ভিত্তিতে একটি অতিরিক্ত সাধারণ কোচ সংযুক্ত করা হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। এর ফলে উপকৃত হবেন হাজার হাজার যাত্রী।