বেকারত্বের সমস্যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে বারেবারে খোঁচা ফিয়ে আসছে বিরোধীরা। বুশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে এই বেকারত্বের হার বেড়ে গিয়েছে বাংলার বুকে। যদিও এর কারণ রয়েছে অনেক। তবে কারণ খোঁজার থেকে এই মুহূর্তে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল এই সমস্যার সমাধান করা। তাই এই বেকারত্বের সমস্যার সহজ সমাধান খুঁজতে নানা সব পদক্ষেপ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকার। এর মধ্যে যেমন অনেক শূন্যপদে হয়েছে নিয়োগ, তেমনই আবার শুন্যপদের অভাবে তৈরি হয়েছে নানা শূন্যপদ। এর ফলে উপকৃত হচ্ছেন বাংলার হাজার হাজার বেকার যুবক ও যুবতীরা।
রাজ্যের বুকে সিভিক ভলান্টিয়ার হল এমন একটি পদ,যা প্রশাসনিক স্তরে একফিকে যেমন পুলিশকে সাহায্য করে ব্যাপকভাবে, তেমনই আবার অন্যদিকে এই পদ রাজ্যের বেকারত্বের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। কারণ সহজ যোগ্যতার মাপকাঠিতে বিচার করে কোনরূপ পরীক্ষা না নিয়ে এই পদে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। আর এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত প্রথম নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর এবার এই সিভিক পুলিশের পদ নিয়ে এল এমন একটি আপডেট, যা শুনলে খুশিতে লাফিয়ে উঠবেন আপনিও।
সিভিক পুলিশের নিয়োগ সহজ পদ্ধতিতে যেমন হয়, তেমনই আবার এই পদে বেতনের পরিমান হয় অনেক কম। কারণ রাজ্য পুলিশের পে-রোলে সবথেকে কম বেতন পান কনস্টেবল পদে কর্মরত কর্মীরা। কিন্তু সিভিক পুলিশ পদে নিয়োজিত প্রত্যেকে তার থেকে অনেক গুন কম বেতন অইয়ে থাকেন। সেই নিয়ে তাদের মনের মধ্যে একটা ক্ষোভ জমেছিল বিগত সময় থেকেই। তবে গত রাজ্য বাজেটে সেই ক্ষোভের আগুনে মাটি চাপা দিতে সিভিক পুলিশদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা করে রাজ্য। তবে তাতেও বিশেষ একটু সুরাহা হয়নি।
কিন্তু এবার রাজ্য যা ঘোষণা করল, তাতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্যে খুশির মহল তৈরি হতে চলেছে। আগেই রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ১০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ করা হয়। তবে সম্প্রতি, এই কোটা বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হল। কিন্তু এক্ষেত্রে আবার রয়েছে নানা সমস্যা। কারণ রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর অবধি। কিন্তু সিভিক ভলান্টিয়ারদের অনেকেরই বয়স পেরিয়ে গেছে। একইসঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও সমস্যা তৈরী হচ্ছে। তবে এই সমস্যা মেটাতে জুনিয়র কনস্টেবল পদে সিভিক ভলান্টিয়ারদের চাকরি দিতে পারে সরকার। যদিও এই পদ নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য এখনো প্রকাশিত হয়নি।