দেশের সবথেকে বড় গণ পরিবহণ মাধ্যম হল রেল। নিত্য দিন কোটি কোটি মানুষ নির্ভরশীল ভারতীয় রেলের উপর। পাশাপাশি দেশের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে গিয়েছে রেল পরিষেবা। যা আরও বিস্তারের কাজ চলছে। টুই ভারতীয় রেলকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক-এর তকমা দেওয়া হয়। যার পুরো ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৬৭ হাজার ৩৬৮ কিমি। ভারতীয় রেলের ট্র্যাক বিশাল ১১৫,০০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এবং এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নেটওয়ার্ক, যা একক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়।
এবার রেলকে অন্য আঙ্গিকে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে যেমন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো সেমি-হাইস্পিড ট্রেন চালু করা হয়েছে, তেমনই আবার ট্রেনের ট্র্যাকগুলিকে নবরূপে গঠন করা হচ্ছে কোনরূপ দুর্ঘটনা এড়াতে। টিকবে এর পাশাপাশি, দেশের স্টেশনগুলিকে সাজিয়ে তুলতে অমৃত ভারত স্কিম চালু হচ্ছে গোটা দেশে। ভারতীয় রেলের এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সব স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে অন্যরূপে। অত্যাধুনিক পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি যাত্রীদের সুবিধার্থে নানা ব্যবস্থা চালু হচ্ছে স্টেশনে স্টেশনে। আর এবার আমাদের রাজ্যের ৬২ টি স্টেশনকেও সাজানো হবে নবরূপে।
রেল সূত্রে জানা গেছে, বাংলার যে ৬২ টি স্টেশন রয়েছে অমৃত ভারত স্কিমের আওতায়, তার মধ্যে অন্যতম হল বালি স্টেশন। এই স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই স্টেশনের মাধ্যমে জুড়ে যায় হাওড়া মেইন লাইন এবং হাওড়া কর্ড লাইন। এছাড়াও এই স্টেশনে নেমে দক্ষিণেশ্বর ও কল্যানেশ্বরের মতো মন্দিরে যাওয়া যায়। এছাড়াও এই স্টেশনকে উত্তর কলকাতার প্রবেশদ্বার বলা হয়। কিন্তু বালি স্টেশনের বিল্ডিংটি বহু পুরানো। সেই কারণেই এবার এই স্টেশনকে নতুন রূপে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব রেল। এখন একনজরে দেখে নিন, কি কি পরিবর্তন হতে চলেছে এই স্টেশনে।
রেল সূত্রে জানা গেছে, এই স্টেশনটি সংস্কারের জন্য ৬.৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যে, স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ চলছে। সেই সঙ্গে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মকে ঝাঁ-চকচকে করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও যে পরিবর্তনগুলি হচ্ছে সেগুলি হল পাখা ও আলোকসজ্জার উন্নতিকরণ, বৈদ্যুতিক তারের পুনর্বিন্যাস, ভঙ্গুর বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির পরিবর্তন, রাস্তায় সাজানো বৈদ্যুতিক পোল, সুউচ্চ জাতীয় পতাকা স্থাপন, স্টেশনের সম্মুখভাগের আলোকসজ্জার পরিবর্তন, ওয়াটার কুলার স্থাপন, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধির জন্য চলমান সিড়ি এবং লিফ্ট চালু এবং সমস্ত সাইনেজের পরিবর্তন।