অপেক্ষার আর মাত্র একদিন। আগামীকাল অর্থাৎ, ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। ওই দিনই উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। মন্দিরের কাজ এখনো সম্পূর্ন না হলেও পরের দিন, ২৩ জানুয়ারি থেকে ভক্তদের দর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হবে ভগবান রামের মন্দির। ইতিমধ্যে, কালো পাথরে তৈরি রামলালার মূর্তি স্থাপিত হয়েছে অযোধ্যার রামমন্দিরের গর্ভগৃহে। প্রকাশ্যে এসেছে কালো পাথরের সেই মূর্তির ছবিও। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ শুক্রবার সকালে মূর্তির যে ছবি প্রকাশ করে, সেটি গর্ভগৃহে স্থাপিত, চোখ কাপড়ে ঢাকা। মাইসুরুর শিল্পী অরুণ যোগীরাজ এই মূর্তি তৈরি করেছেন।
আর এই বিশাল মন্দির ও রামলালাকে দর্শন করতে ইতিমধ্যে দেশের নানা প্রান্তে কোটি কোটি মানুষ উৎসুক হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে, বিভিন্ন গাড়ি ও ট্রেনে করে অযোধ্যায় গিয়ে মন্দির দর্শন করে এসেছেন অনেকেই। আবার অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন রাম জন্মভূমি অযোধ্যায়। ইতিমধ্যে, যেখানে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটেছে। যদিও সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে মন্দিরের দরজা। একইসঙ্গে ভিড় সামাল দিতে অযোধ্যা ও ফৈজাবাদ স্টেশনে ট্রেন থামানো বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এই দিনটির পরেও অনেকে অযোধ্যা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও লাখ লাখ মানুষ আগামী দিনে অযোধ্যায় যাত্রা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আর এবার পশ্চিমবঙ্গের দর্শনার্থীদের জন্য বড় সুখবর দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানালেন যে এবার হাওড়া থেকে অযোধ্যাধাম স্টেশন অবধি একটি সরাসরি ট্রেন চালানো হবে রেলের তরফে। তিনি বলেন যে আস্থা স্পেশ্যাল ট্রেনের মাধ্যমে সরাসরি অযোধ্যায় পৌঁছে যাওয়া যাবে। এই ট্রেনে হাওড়া থেকে রাম রাজ্যে মাত্র ১,৬০০ তাকে পৌঁছে যাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। আগামী ২৯ শে জানুয়ারি থেকে এই ট্রেনের যাত্রাপথ শুরু হবে বলে জানান দিলীপ বাবু। আর এই ট্রেনে চড়ে অনায়াসে রাম মন্দির দর্শনে যেতে পারবেন পুণ্যার্থীরা, এমনটাই জানান রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
শনিবার সকালে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সারা দেশের লোক অযোধ্যায় দর্শন করতে যেতে চান। এত লোক একসঙ্গে গেলে ছোট্ট শহর অযোধ্যায় অব্যবস্থা তৈরি হবে। তাই ওখানকার আয়োজকরা বিভিন্ন রাজ্যকে আলাদা আলাদা সময় দিয়েছেন। ২২ তারিখের পর সাধারণ মানুষ যাতে দর্শন করতে পারেন। কেন্দ্রীয় সরকারও সহযোগিতা করছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে শত শত আস্থা স্পেশ্যাল ট্রেন চলবে। তার মধ্যে ২৯ জানুয়ারি হাওড়া স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে। ৫টা ট্রেন আপাতত যাবে ৫ দিন। যারা যেতে চান তারা ১৬০০ টাকার টিকিট কাটবেন। আগে জমা দেবেন। তার পর রেল পাস দেবে। ট্রেনে ওঠার পরে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত সব দায়িত্ব নেবেন ওনারা। ওখানে বাংলাভাষী ভলান্টিয়ার থাকবে। খাওয়া, থাকা, যাতায়াত সব ব্যবস্থা হবে। সারা ভারতবর্ষকে চারটে জ়োনে ভাগ করে আলাদা আলাদা রংয়ের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।”