বাঙালির কাছেপিঠের সুন্দর জায়গার অন্যতম হল দার্জিলিং ও দীঘা। উত্তরবঙ্গে অবস্থিত ছবির মতো শহর দার্জিলিংকে বাংলার পর্যটন শিল্পের অন্যতম আধার হিসেবে ধরা হয়। অন্যদিকে বাংলার অন্যতম সমুদ্র সৈকত রয়েছে দীঘায়। এই শহরটিকে সৈকত-নগরী বলা হয়ে থাকে। তবে এসব জায়গায় যেতে হলে হাতে একটি বা দুটি দিন সময় নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এই ব্যস্ততম জীবনে সেই সময় বের করার মতো সুযোগ অনেকেরই থাকে না। তবে কয়েকঘন্টা কাজ থেকে বিরতি নিয়ে কাছেপিঠে কোথাও ঘুরে আসতে মন চায় সকলেরই। তাতে করে কাজের সময় কাজও হয়, আবার মনের উপশম হয় কিছু নয়নাভিরাম দৃশ্যকে সাক্ষী করে।
কলকাতা শহরের বাসিন্দাদের কাছে কাছেপিঠের এমন একটি অন্যতম গন্তব্য হল আলিপুর চিড়িয়াখানা। হাতে ঘন্টাখানেক সময় নিয়ে শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে গিয়ে আবার ফিরে আসা যায় এই স্থান থেকে। তবে শুধুমাত্র কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলির বাসিন্দাদের কাছেও এই আলিপুর চিড়িয়াখানা হল আকর্ষণের অন্যতম স্থান। বিশেষ করে শিশুদের কাছে এই স্থান হল অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক। সেই কারণেই ছুটির দিনগুলোতে এই আলিপুর চিড়িয়াখানায় ভিড় জমে হাজার হাজার মানুষের।
আলিপুর চিড়িয়াখানা হল বিশেষ একটি আকর্ষণীয় স্থান। এই চিড়িয়াখানায় যেমন অনেক ধরণের পশু দেখতে পাওয়া যায়, তেমনই আবার অনেক ধরণের পাখি রয়েছে এখানে। একইসঙ্গে চিড়িয়াখানায় রয়েছে অনেক ধরেনর সরীসৃপও। তবে যে প্রাণীদের কারণে আলিপুর চিড়িয়াখানা বিখ্যাত সেগুলি হল, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, হাতি, গন্ডার, জিরাফ, ময়ূর প্রভৃতি। এছাড়াও অনেক বিরল প্রাণীকে রাখা হয় চিড়িয়াখানায়। সেই কারণেই শিশুমনের বিকাশ ঘটাতে চিড়িয়াখানা এক অনন্য স্থানের তকমা পায়।
তবে আপনি এই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে এবার থেকে আপনাকে মনে রাখতে হবে একটি বিশেষ নিয়ম। কারণ ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানার একটি নিয়ম বদলে যাচ্ছে। সম্প্রতি, আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যে এবার থেকে সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দিনটিতে বন্ধ রাখা হবে চিড়িয়াখানা। তবে বৃহস্পতিবার কোনো সরকারি ছুটি থাকলে সেদিন বন্ধ রাখা হবেনা না এই বিশেষ স্থানটি। তাই চিড়িয়াখানা ঘোরার প্ল্যান থাকলে বৃহস্পতিবার দিনটি আপনিও বাদ দিয়ে রাখবেন।