বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক জনবহুল দেশ ভারত। তাই ভারতে নিত্যদিন মানুষের যাতায়াত করতে হয় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। আর বর্তমান সময়ে ভারতীয় রেল আমাদের দেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থায় এক অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। যাত্রী পরিবহন থেকে শুরু করে দৈর্ঘতার নিরিখে ভারতীয় রেল বিশ্বে চতুর্থ স্থান দখল করে। সুদূর জম্মু থেকে কন্যাককুমারী, আসাম থেকে রাজস্থান- সর্বত্র বিছিয়ে রয়েছে রেলের যোগাযোগ। আর এই বিশাল দেশে রেল ব্যবস্থা চালু রয়েছে বছরের সবকটি দিনই।
বর্তমানে রেলের উন্নতিসাধনের জন্য একাধিক বড়সড় পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় রেল। একদিকে ট্রেনের গতি বাড়ানোর জন্য যেমন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ও অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন লঞ্চ হয়েছে দেশে, তেমনই আবার ট্রেনের লাইনের উন্নতিসাধন ঘটাতে কাজ চলেছে জোরকদমে। একইসঙ্গে ভারতের ৫০০-র বেশি রেল স্টেশনকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় রেল। ইতিমধ্যে অনেক স্টেশনে কাজ শুরু হয়েছে। অনেক স্টেশনে কাজ শেষের মুখে। আর ২৬ শে ফেব্রুয়ারি রাজ্যের এমন ২২ টি স্টেশনের মানোন্নয়নের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জানা গেছে, রাজ্যের একাধিক স্টেশনে নানা উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ভারতীয় রেল। এক্ষেত্রে পূর্ব রেল ডিভিশনের আসানসোল ডিভিশনের সাতটি স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ডুমকা, বাসুকীনাথ, দেওঘর, শঙ্করপুর, বিদ্যাসাগর, জামতাড়া এবং পানাগড় স্টেশন। একইসঙ্গে ডানকুনি ও বর্ধমান স্টেশনেও শেষের মুখে অনেক কাজ। এছাড়াও, পূর্ব রেলের অধীনে রাজ্যের ১১ টি স্টেশনে সাবওয়ের শিল্যান্যাস হল প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে।
তবে শুধুমাত্র পূর্ব রেল নয়, দক্ষিণ পূর্ব রেলের অধীনে একাধিক স্টেশনেও শুরু হয়েছে মানোন্নয়নের কাজ। জানা গেছে, দক্ষিণ পূর্ব রেলের অধীনে ৪৬টি স্টেশন এবং ১০৮টি রোড ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাসের উদ্বোধন হয় এদিন। এছাড়াও একাধিক স্টেশনের কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেসব স্টেশনে এদিন ভার্চুয়াল উদ্বোধন হল, সেগুলি হল, আদ্রা, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া, খড়গপুর, মেচেদা, উলুবেড়িয়া, আন্দুল, পাঁশকুড়া, দীঘা এবং হলদিয়া। সূত্রের খবর, রাজ্যের সব স্টেশনে কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা।