লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, দেশে তত বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। রাজনৈতিক সভা মঞ্চে দিবারাত্রি চলছে শাসক বিরোধী বাক-তর্জা। নিশানা ও পাল্টা নিশনার মাঝেই চড়চড়িয়ে বাড়ছে রাজনীতির পারদ। আর ঠিক ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে বিজেপি বিরোধী তৃতীয় ফ্রন্ট, বা বিজেপির বিরোধিতায় তৈরি হওয়া মহাজোট দাঁড়িয়ে প্রশ্নচিহ্নের মুখে। কারণ ইতিমধ্যে, জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার বার্তা দিয়েছে কেউ, কেউ করেছেন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, কেউ আবার জোটের হাল ধরার জায়গায় ভোল বদলে ধরে নিয়েছে বিজেপির হাত। তাই ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে যেখানে অন্যান্য দলগুলিকে পাশে নিয়ে বিজেপিকে টক্কর দেওয়ার আশা করেছিল কংগ্রেস, সেই স্বপ্নভঙ্গ ঘটেছে তাদের।
তবে আসন্ন এই লোকসভা ভোটে বঙ্গ রাজনীতিতে একলা চলো নীতি নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। গকত সপ্তাহে বর্ধমানের কর্মীসভা থেকেই এই বার্তা দেন তিনি। আর এবার একলা লড়াই করার এই বার্তায় যেন আরো দৃঢ়তা প্রদান করলেন উত্তরবঙ্গ সফরে। সেই কারণেই হয়তো মালদার সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বুধবার দৃঢ় কণ্ঠে বঙ্গবাসীকে মমতা বলেন, “বিজেপির সঙ্গে আমাদের যে লড়াই চলবে, আমরা একাই লড়ব। বিজেপিকে কেউ যদি ভরতবর্ষে পরাস্ত করতে পারে, সে তৃণমূল কংগ্রেস করতে পারে, আর কেউ করতে পারে না।”
তবে শুধুমাত্র একলা চলো নীতি নয়, শুধুমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা নয়, বুধবার মালদার সভা থেকে কংগ্রেসকে তোপ দাগতেও ভুললেন না তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন তিনি কংগ্রেসকে আসন সমঝোতা বিবাদ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করলেন। মালদার সোজা থেকে সেই কারণেই মমতা বলেন, “পরপর দু’বার কংগ্রেস জিতেছে। কী করেছে? বরকতদা যখন ছিলেন কিছু করেছিলেন। বরকতদার পরিবার লড়ুক আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে ফাইট একমাত্র তৃণমূলও পারবে, আর কেউ পারবে না।”
তবে শুধুমাত্র ভোট চাওয়া নয়, কেন্দ্রে আসীন বিজেপি সরকারের নানা বঞ্চনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠতেও দেখা গেল মমতাকে। তাই তিনি এদিনের সভা থেকে বললেন, “মাথা তুলে দাঁড়ান, বাংলাই পথ দেখাবে দেশকে। যাঁরা দেশকে পথ দেখাতে পারে না, তাঁরা বড় বড় কথা বলে। মিথ্যের আশ্রয় নেয়। আর যাঁরা দেশকে পথ দেখাতে পারে তাঁরা কাজ করে। আমরা কথা কম বলি, কাজ করি। যাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেও টাকা পাননি, আমি ২ তারিখ থেকে একটা ধরনা করছি, তাঁরা সেখানে গিয়ে জড়ো হন।”