শতাব্দী রায় একজন জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেত্রী। তবে একইসঙ্গে তিনি চিত্রপরিচালক ও রাজনীতিবিদও। নব্বইয়ের দশকে বাণিজ্যিক বাংলা ছবির অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন শতাব্দী। তবে তারপর থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম প্রধান মুখ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও তৃণমূল বাংলায় ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই শতাব্দী দলের কান্ডারি হয়ে থরকেছেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। তারপর ২০১৪, ২০১৯ সালেও তিনি একইভাবে সাফল্য পেয়েছেন ভোটের ময়দানে। তাই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও তিনি দলের হয়ে লড়ছেন।
তৃণমূলের তারকা মুখ শতাব্দী রায় বরাবর বীরভূম জেলায় অনুব্রত মন্ডলের ছত্রছায়ায় ভক্তের ময়দানে নেমেছেন। তবে এবার পরিস্থিতি খানিকটা আলাদা। কারণ এবার বীরভূমে নেই সেই অনুব্রতই। গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের এই দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা এখন রয়েছেন তিহার জেলে। তবে অনুব্রত-হীন বীরভূমে ভোটের প্রচারে কোনোরূপ খামতি রাখছেন না প্রার্থী শতাব্দী রায়। তাই এবার রাজ্যে শিক্ষার অগ্রগতিকে হাতিয়ার করে ভোটে মেশিনে বাজিমাত করার পরিকল্পনা করলেন তৃণমূল প্রার্থী। আর তার জন্য তিনি বললেন রাজ্যের শিক্ষা সেলের সঙ্গে।
লোকসভা ভোটের আগেই শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের নিয়ে বৈঠক করেন বীরভূমের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। রবিবার রামপুরহাটের একটি হোটেলে তৃণমূল শিক্ষা সেলের সদস্যদের নিয়ে এই বৈঠক করেন তিনি। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূমের শিক্ষক নেতা প্রলয় নায়েক-সহ এলাকায় তৃণমূল শিক্ষা সেলের সদস্যরা। জানা গেছে, এবার ভোটের আগে মানুষজনকে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার আসল উন্নয়ন দেখাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন শিক্ষা সেলের এই শিক্ষক শিক্ষিকারাই। এর ফলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্যের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে দোষারোপ করা বন্ধ হবে বলে দাবি তৃণমূল প্রার্থীর।
তবে এখানেই শেষ নয়, অনুব্রত-হীন বীরভূমের মাটিতে ফের ঘাসফুল ফোটাতে গান গেয়ে প্রচার করছেন শতাব্দী। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী বলেন, “এখন দেশ এগোচ্ছে তো। ২৫ বছরের ফিল্মি কেরিয়ারের অভিজ্ঞতা। এখন গরুর গাড়ি ছেড়ে লোকে উড়োজাহাজে চড়ছে। হাতে হাতে মোবাইল। তাই ২ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের একটা প্রচারের থিম ভিডিও বানালাম। যা একদম নতুন।” এই বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী আবার বলেন, “এখন সাইকেল থেকে স্কুটিতে আপগ্রেড হয়েছে। আগে হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম ছিল না। এখন তাই তালে তাল রাখতে একটু মজা করে এগিয়ে থাকার প্রচার চালালাম”।