২০২২ সালের অগস্টে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মন্ডল। একাধিক বার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। পরে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে ইডি। এখন তিহাড় জেলে রয়েছেন অনুব্রত। পাশাপাশি তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। এর মাঝে একাধিকবার জামিনের মামলা করেছেন বাবা ও মেয়ে। কিন্তু আদালত বারবার সেই ‘প্রভাবশালী’ তত্বেই জামিন মঞ্জুর করেনি তাদের। তাই ‘অনুব্রত-গড়’ নামে পরিচিত বীরভূম এখন অনুব্রতহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
তবে অনুব্রত-হীন বীরভূমে কিন্তু মোটেও পিছিয়ে পড়েনি শাসক দল তৃণমূল। তার পর বীরভূমে তৃণমূলের হল ধরতে এগিয়ে এসেছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায় সহ অনেক তৃণমূল নেতারা। এর মাঝেই বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে কাজল শেখের নাম। কিন্তু সেই কাজল শেখকে কোর কমিটি থেকে বাদ দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাজানো বীরভূমের কোর কমিটিতে প্রাধান্য পেয়েছেন অনুব্রত অনুগামীরাই। যেখানে কয়েকমাস আগে অবধি কাজল শেখের গোষ্ঠীর ক্ষমতা বাড়তে দেখা যাচ্ছিল বীরভূমে। আর এবার বীরভূমে ঘটে গেল এক বড় ঘটনা।
সামনেই লোকসভা ভোট। আর অনুব্রতহীন বীরভূমে তাকে সামনে রেখেই প্রচার চালানোর বার্তা দিয়ে দিলেন তার অনুগামীরা। সাইথিয়ার পর এবার বীরভূমের বোলপুরে অনুব্রতর নামে পড়লো পোষ্টার। অনুব্রতকে ফিরিয়ে আনার জন্য এবার বীরভূম জুড়ে মহাযজ্ঞের ঘোষণা করল তার অনুগামীরা। এই এই মর্মে একটি পোস্টার দেখা গেল বোলপুর শহরে। জানা গেছে, এই যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবার আগামী ১০ ই ফেব্রুয়ারি। এই পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বোলপুর রেল ময়দান দুর্গামন্দিরে বোলপুর তথা বীরভূমের রূপকার অনুব্রত মণ্ডল মহাশয় সহ তাঁর পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিশেষ হোম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
জানা গেছে, আগামী ১০ ই ফেব্রুয়ারির এই মহাযজ্ঞের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন ১০ হাজার মানুষ, তারা সকলেই অনুব্রতর শুভাকাঙ্ক্ষী। এছাড়াও এই যজ্ঞ করবেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১০ জন পুরোহিত। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, ৩ কুইন্টাল বেল কাঠ এবং ২৫ কেজি গাওয়া ঘি ব্যবহৃত হবে এই মহাযজ্ঞে। এছাড়াও এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি দিয়ে ২৫টি গেট তৈরি করা হবে বোলপুর শহর জুড়ে। তৃণমূল কর্মীরা মনে করছেন যে এই যজ্ঞের মাধ্যমে বীরভূমে ফিরবেন অনুব্রত। আর তিনি ফিরলেই নাকি বীরভূমে ফিরবে শান্তি, এমনটাই দাবি তাদের।