বাঙালির মহিলা মহলে তিনি থাকেন প্রতিটা সন্ধ্যেতে। টিভির পর্দায় সকলের প্রিয় দিদি তিনি। তিনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময়ে তিনি ছিলেন টিনসেল দুনিয়ার হার্টথ্রব নায়িকা। একাধিক নায়কের সঙ্গে বেঁধেছেন পর্দার জুটি। বাংলা, হিন্দি এমনকি তামিল সহ একাধিক ভাষার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। আর একের পর এক ‘সুপারহিট’ ছবি উপহার দিয়েছেন ভক্তদের। তবে আজকাল তিনি সঞ্চালনায় খ্যাত। ‘দিদি নং-১’ রিয়েলিটি শো কমবেশি সকল বাঙালি মহিলাই পছন্দ করেন। তাই রচনা সকলের প্রিয় হয়েই রয়ে গেছেন।
তবে এসবের পাশাপাশি বর্তমানে অন্য কারণে চর্চায় এই অভিনেত্রী। তার কারণটা অনেকেরই জানা। ইতিমধ্যে অনেকেই জেনেছেন যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হুগলি কেন্দ্র থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পেয়ে লড়াই করছেন বাংলার আরেক দিদি। এই কেন্দ্রে তার বিপক্ষে প্রার্থী হয়েছেন অভিনয় জগতে তার একসময়ের সহকর্মী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। যদিও রাজনীতির ময়দানে রচনার থেকে কিছুটা সিনিয়র লকেট। তবে এই কেন্দ্রে লড়াই যে হবে কাঁটায়-কাঁটায় তা মোটামুটি আন্দাজ করাই যাচ্ছে।
তবে নির্বাচনী প্রচারে নেমে বারবার নানা বেফাঁস মন্তব্য করে ইতিমধ্যে ট্রোল হচ্ছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। “হুগলির মানুষ খুব লাকি যে আমাকে দেখতে পাবে”- এই কথা বলে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন রচনা। আর এবার তিনি যা বললেন, সেটিকে ঘিরে চরম হাসাহাসি হল বিরোধী শিবির থেকে শুরু করে নেট দুনিয়ায় এমনকি তারকা মহলেও। হুগলির শিল্প উন্নয়ন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রচনা বলেন, “আমি যখন এলাম দেখলাম অনেক কারখানা হয়েছে। চিমনি থেকে শুধু ধোঁয়াই ধোঁয়া, রাস্তাঘাট অন্ধকার। শুধু ধোঁয়া বেরোচ্ছে। এত কারখানা হয়েছে, তাহলে কী করে বলছেন কারখানা হয়নি, হয়েছে আরও হবে।”
তার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কটাক্ষ করেছেন অনেক নেট জনতা। একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘একটা কথা আপনি শুধু ঠিক বলেছেন চারিদিক অন্ধকার’। অন্যজন লেখন, ‘দিদি গো ওটা তোমার দিদি নম্বর ১-এর চিমনির ধোঁয়া’। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, রচনার এই মন্তব্যে কটাক্ষ করে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র লেখেন, ‘চোখ জ্বালা করছে ধোঁয়াতে। কী ধোঁয়া, কী ধোঁয়া।’ এছাড়াও অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিক লেখেন, ‘রচনা ব্যানার্জি চারিদিকে এতো ধোয়াই ধোয়া দেখেছেন, গোটা অষ্টাদশ শতকের ইউরোপে শিল্প বিপ্লবে এতো ধোয়া উৎপাদন হয়েনি। রচনা দেবীর এই বক্তব্য শুনে প্রথমবার নিজেকে ‘খাজাঞ্চিবাবু’ মনে হচ্ছে, গাইজ।’ তবে ভোটের ময়দানে রচনার প্রতিদ্বন্দ্বী লকেট বলেন, ‘এতদিন ওঁনাকে লোকে টিভির পর্দায় দেখেছেন। এবার উনি রাজনীতির ময়দানে এসে দেখুক, আমি ওঁনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। উনি আমার ভালো বন্ধু, আমরা সবসময় বন্ধু থাকব।’