২০২৪ সালে লোকসভা ভোট হওয়ার কথা রয়েছে দেশে। আর এই ভোটে বর্তমানের শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরের গেম-প্ল্যান কিন্তু অনেকটাই আলাদা। একদিকে যেমন শাসক দল বিজেপি আসন্ন এই লোকসভা ভোটে ফের ৩০০-র বেশি আসন পেয়ে বিরোধীদের কার্যত ‘হোয়াইট-ওয়াশ’ করতে মরিয়া, অন্যদিকে বিরোধীরা ফের একবার ঘুরে দাঁড়িয়ে পদ্ম শিবিরকে টেক্কা দেওয়ার ছক কষতে কোমর বাঁধছে। আর বিরোধীদের এই ইলেকশন রুট-ম্যাপে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল জোটের ভবিষ্যৎ। আর এই বিষয়টি নিয়ে এবার তৈরি হল টালমাটাল পরিস্থিতি।
২০২৩ সালে বিজেপি বিরোধী সব দলগুলি একত্রিত হয় লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। যেহেতু দেশের প্রধান বিরোধী দলের তকমা হারিয়েছে কংগ্রেস, তাই এখন কংগ্রেসকে অন্যান্য রাজ্যস্তরের দলগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে হবে। এটা আগেভাগে বুঝে ২৮ টি দলকে নিয়ে তৈরি হয় ‘ইন্ডিয়া’ জোট। এই জোটের নামকরণ নিয়ে শুরুতেই বিতর্ক হয়। তবে এই বিতর্ক বাড়ে জোটের অন্দরে থাকা দলগুলির মতবিরোধের বাড়বাড়ন্তর কারণে। আর এবার জোটের অন্যতম প্রধান শরিক জেডিইউ সুপ্রিমো নীতিশ কুমারের জোট ত্যাগ নিয়ে এলো বড় আপডেট। আর সেই বিষয়টি নিয়ে এবার মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো উনডিয়া জোট ছেড়ে একলা চলো নীতির ঘোষণা করেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে পশ্চিমবঙ্গে একক দল হিসেবেই লড়াই করবে তৃণমূল। আর এই ঘটনার পরেই জোটের মূল শরিক জেডিইউ-এর জোট ত্যাগের খবর সামনে আসে। জানা গেছে, নীতিশ কুমারের এই দল নাকি ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে এনডিএ জোটে নাম লেখাতে চলেছে। আর এই মর্মেই বিহারেট মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শীঘ্রই শপথ নিতে চলেছেন নীতিশ কুমার। যদিও, বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট তৈরির অন্যতম প্রধান কারিগর ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার তিনিই সরে দাঁড়াচ্ছেন জোট থেকে।
আর ভোটের এক্কেবারে দোরগোড়ায় নীতিশ কুমারের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে বাড়ছে জোটের জল্পনা। কারণ নীতিশ কুমারের ডাকেই বিহারের পাটনায় ইন্ডিয়া জোটের প্রথম সম্মেলন হয়। কিন্তু তিনিই এবার সক্রে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে বাড়ছে জল্পনা। যদিও বিষয়টিকে তেমন কোনো চিন্তার বলে ধরতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মতে, নীতিশ কুমার সরে দাঁড়ালে জোটের ক্ষতি তো হবেই না, উল্টে জোটের অনেকটা সুবিধা হবে এতে। এছাড়াও তিনি বিষয়টিকে জোটের পক্ষে ভালো বলেও দাবি করেছেন।