আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে দেশজুড়ে। সাত দফায় হবে ভোটগ্রহণ। ইতিমধ্যে প্রায় সব দলই তাদের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে। সবার আগে প্রার্থীদের নাম সামনে এনেছিল বিজেপি। এবার ভোটে ভাঙল থেকে ভালো ফলাফল করার সম্ভাবনা রয়েছে পদ্ম শিবিরের। তাই এবার বিজেপির হপয় ভোটে লড়ছেন দিলীপ ঘোষ থেকে সুকান্ত মজুমদার, সবাই। এককথায় বাংলায় সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচনী লড়াই লড়তে চাইছে পদ্ম শিবির। তাই প্রার্থীতালিকায় কোনোরূপ খামতি রাখেনি তারা। এককথায় বাংলাতেও ভালো ফল করে শক্তি বাড়াতে মরিয়া বিজেপি।
তবে এবার ভোটের আগেই বড় বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির এক প্রার্থী। প্রচারে বেরিয়ে এক মহিলাকে আলিঙ্গন করে তার গালে চুম্বন করার অভিযোগ উঠলো তার বিরুদ্ধে। এমনকি আরেক মহিলার পিঠে অশালীনভাবে হাত রাখার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। আর এই কারণেই ভোটের আগে নারী মর্যাদার বিষয়ে কাঠগড়ায় মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। আর এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যেতেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তর্জা। যদিও পিঠ বাঁচাতে ঘটনার আসল বিবরণ শুনিয়েছেন অভিযুক্ত বিজেপি প্রার্থী।
এই ঘটনার কয়েকটি ছবি পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়, ‘আপনি যেটা দেখেছেন, সেটা যদি বিশ্বাস করতে না পারেন, তাহলে আমরা ব্যাপারটা স্পষ্ট করে দিই। হ্যাঁ, ইনি বিজেপির সাংসদ এবং মালদা উত্তরের প্রার্থী খগেন মুর্মু। যিনি প্রচারের মধ্যে নিজের ইচ্ছায় একজন মহিলাকে চুম্বন করছেন। মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থা করা সাংসদ থেকে বাঙালি মহিলাদের নিয়ে অশ্লীল গান তৈরি করা নেতা – বিজেপি শিবিরে মহিলা-বিরোধী রাজনীতিবিদের অভাব নেই। এভাবেই নারীর সম্মানের ক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকে মোদীর পরিবার।’ সেইসঙ্গে তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, ‘মোদী কী গ্যারান্টি হল আদতে নারীর অপমান।’
যদিও ঘটনা নিয়ে বেশি জলঘোলা হওয়ার আগেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মালদা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। তিনি এই বিষয়ে বলেন, “ছবিটা তৃণমূলের একজন পোস্ট করেছে এবং কিছুটা এডিটেড। এটা ওদের নোংরা মানসিকতার পরিচয়। যে মেয়েটিকে চুমু খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে সে আমাদের পরিবারের একজন বাচ্চা। আমাদের এক কর্মীর মেয়ে, বেঙ্গালুরুতে নার্সিং পড়ছে। ভালো রেজাল্ট করেছে। তাই একটু আদর করে দিয়েছি। এমনটা আমাদের নিজের সন্তানকেও করি। আর ওর মা বাবা দু’জনেই পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আজকেও ওই এলাকায় প্রচার করছি। কেউ খারাপভাবে নেননি। তৃণমূলীরা ভোটের জন্য নোংরামি করছে।” আবার চুমু বৈষম্য এড়াতে এর পরই প্রচারে বেরিয়ে এক যুবুকের গালেও চুম্বন দেন তিনি।