প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই দেশের পদ্ম সম্মান প্রাপকদের নাম ঘোষিত হয়েছে। এবছর যারা তাদের বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নেবেন, তাদের নাম প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। পদ্ম সম্মান হল জাতীয় স্তরের অন্যতম বৃহৎ একটি পুরস্কার। আর চলতি বছর এই তালিকায় নাম রয়েছে বলিউড ও টলিউড অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। আর এই বিষয়টির উপর এবার লেগে গেল রাজনৈতিক বিতর্কের রং। কারণ মিঠুন চক্রবর্তী একজন অভিনেতার পাশাপাশি কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির এক গুরুত্বপূর্ণ মুখ। আর সেই কারণেই তার পদ্ম সম্মান পাওয়ার বিষয়টিকে নিয়ে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।
যেহেতু বর্তমানে দিল্লির মসনদে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি সরকার এবং মিঠুন চক্রবর্তী সেই দলেরই একজন সক্রিয় কর্মী, সেই কারণেই তার এই পদ্ম সম্মান পাওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ কেন্দ্র সরকার থেকেই দেশের এই অন্যতম অসামরিক সম্মান দেওয়া হয়। আর এই বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। এই মর্মে তিনি এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করেন। এত এই পোস্টে কুনাল ঘোষ লেখেন, ‘অভিনয়ের স্বীকৃতিতে পদ্মভূষণ নয়। তাহলে ২০১৪-র পর যে কোন সময় পেতেন। এখন এটা তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করা আর কুৎসা করার পারিশ্রমিক। দলবদল করে, কৃতজ্ঞতার মোড়ক খুলে, ভাড়া করা নোটাঙ্কির পুরস্কার।’
যদিও কুনাল ঘোষের এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কারো কোনরূপ নাম উল্লেখ করা নেই। কিন্তু এই পোস্ট দেখে কারো হয়তো ‘দুইয়ে দুইয়ে চার’ কোন নিতে সমস্যা হয়নি। কারণ এবারের পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় অভিনয় জগৎ থেকে উল্লেখযোগ্য নাম মিঠুন চক্রবর্তীর রয়েছে। যদিও মিঠুন চক্রবর্তী ও কুনাল ঘোষের এই বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন বিপরীত মেরুর এই দুই রাজনীতিবিদ। এর আগে মিঠুনের ‘প্রজাপতি’ সিনেমা নন্দনে স্থান না পাওয়ার বিষয়ে তাদের বাকযুদ্ধ সবাই কমবেশি জানেন। তার পরেও একাধিকবার বিতর্ক হয়েছে দুজনের।
প্রসঙ্গত, মিঠুন চক্রবর্তী বর্তমানে বিজেপির সক্রিয় এক ব্যক্তিত্ব হলেও একটা সময় তিনি ছিলেন মমতা ঘনিষ্ঠ। আগে সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক ময়দানে তাকে দেখা না গেলেও পরোক্ষভাবে তিনি বহুদিন আগে থেকেই জুড়ে রয়েছেন রাজনীতির সঙ্গে। তবে ২০১১ সালে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। তবে আসন্ন লোকসভা ভোটে যে বিজেপির হয়ে প্রচার করতে সক্রিয়ভাবে দেখা যাবে মিঠুনকে, তা বোঝাই যাচ্ছে। কারণ আসন্ন কয়েকমাস সেই কারণেই হয়তো কোন শ্যুটিংয়ের কাজ রাখেননি তিনি।