২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বাজিমাত করে আবার কি তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবে বিজেপি? নাকি ২০২৪ সালেই বিরোধীরা আসবেন ক্ষমতায়? এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত নেই কারো কাছেই। তবে ভোটের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। ইতিমধ্যে প্রচারে ঝড় তুলেছে সবকটি রাজনৈতিক দল। তবে দিল্লির বুকে এখন অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে পদ্ম শিবিরকে। কেন্দ্রে গেরুয়া ঝড়ের আশা রয়েছে এবারেও। একইসঙ্গে সব সংস্থার সমীক্ষায় বাংলাতেও ভালো ফল করার আশা করছে পদ্ম শিবির। কারণ অনেকেই মনে করছেন জর এবার বাংলায় ২০১৯-এর থেকেই বেশি আসনে জয়লাভ করতে পারে বিজেপি।
তবে বাংলার বুকে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা আসন রয়েছে, তার মধ্যে বিজেপি পাখির চোখ করতে চলেছে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রকে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এই লোকসভা কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই আসনে তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেবকে হারানো যে যথেষ্ট কঠিন, তা বারেবারে প্রমাণিত হয়েছে। আর এবারেও তৃণমূলের প্রতীকে সেখানে লড়ছেন দীপক অধিকারী ওরফে দেব। আর তার বিপক্ষে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাই এবার ঘাটাল তারকা বনাম তারকা লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই কারণেই জমে উঠেছে সেখানের প্রচার অভিযানও।
এরই মাঝে ঘাটালে প্রচারে গিয়ে একাধিকবার বিদায়ী সাংসদ দীপক অধিকারীকে নিশানা করেছেন বিজেপি প্রার্থী। আর এবার তিনি যা বললেন, তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। গত বৃহস্পতিবার ঘাটালের অন্তর্গত সবং ব্লকের ৭ নম্বর নারায়ণবাড় অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হিরণ বলেন, “দেব ভোট শেষ হলেই কলকাতায় পালিয়ে যান। এ বারে ভোটের পরে কেউ পালাতে দেবে না। এ বার ভোটের পরে আপনাকে সবাই জবাব দেবে। ভোটের আগে আপনাকে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করছে না। কারণ আমরা চাই, নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক। ভোটের আগে কেউ কাউকে অ্যারেস্ট করবে না। কিন্তু ভোটের পরে আপনাকে তিহাড়ে জেলে যেতে হবে। কারণ, গরু চুরির টাকা নিয়েছেন আপনি।”
যদিও হিরণকে পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েননি তৃণমূল প্রার্থী। বৃহস্পতিবারের এই তোপের জবাব দেব দিলেন শনিবার। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেব বলেন, “হিরণ কে? উনি বিজেপি প্রার্থী। ভগবান তো নন। আমার কাছে মানুষই ভগবান। তাঁরা ভোটটা দিয়ে তাঁকে বুঝিয়ে দেবেন, তিনি কত ভোটে হারবেন। ভগবান হচ্ছে মানুষ, হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় নন।” উল্লেখ্য, এদিনই ঘাটালের নানা জায়গায় প্রচারে ঝড় তোলেন দেব। বাংলা বছরের শেষ বিকেলে দেব সবং ব্লকের তেমাথানি বাজার, চাঁদকুড়ি বাজার, বড়সাহারা কালীমন্দির, খড়িকা বাসস্ট্যান্ড, দশগ্রাম বাসস্ট্যান্ড, দেহাটি বাসস্ট্যান্ড-সহ বেশ কিছু এলাকায় নির্বাচনী প্রচার সারেন।