সামনেই লোকসভা ভোট। দিল্লির মসনদে কে বসবে, তা নিয়ে এখন চর্চা চলছে দেশজুড়ে। আবার কি তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবে বিজেপি? নাকি ২০২৪ সালেই বিরোধীরা আসবেন ক্ষমতায়? এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত নেই কারো কাছেই। তবে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সবকটি রাজনৈতিক দল। তবে দিল্লির বুকে এখন অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে পদ্ম শিবিরকে। বিশেষ করে রাম মন্দির উদ্বোধনের পর হিন্দু ভোটের স্রোত যে বিজেপির দিকে অনেকটা বেশিই আসবে, তা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, বিজেপিকে ঠেকাতে সমস্ত বিরোধী দলগুলি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। এই মর্মে ২০২৩ সালেই গঠিত হয় ‘ইন্ডিয়া’ জোট। তবে জোটের সমীকরণ এখন অনেকটাই এলোমেলো দেখাচ্ছে।
তবে কেন্দ্রে গেরুয়া ঝড়ের আশা থাকলেও এবারের লোকসভা ভোটে বাংলা নিয়ে যে বড় চিন্তায় থাকবে পদ্ম শিবির, তা বলাই যায়। তাই এবার বাংলাকে দখল করতে এবার অন্য পথে হাঁটছে বিজেপি। আর এবার বিজেপি পাখির চোখ করতে চলেছে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই লোকসভা কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই এবার এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপির তারকা নেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাকে সামনে আনার আরেকটা কারণ হতে পারে এই কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ। কারণ তৃণমূলের হয় বিগত ২ লোকসভা ভোটে এখানে জয়লাভ করেছেন অভিনেতা দেব।
যদিও বিজেপির তরফে এখনো প্রার্থী তালিকা নিয়ে কোনো ঘোষণা হয়নি। তবে ভোটের আগে থেকেই ঘাটাল কেন্দ্রে প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই কারণেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে এবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে দেবের বিরুদ্ধে তাকে প্রার্থী করতে পারে পদ্ম শিবির। সেই কারণেই হয়তো এবার নিজের হাতে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিলেন হিরণ। তাকে লোকসভা কেন্দ্রের একটি স্থানে দেখা গেল রং তুলি নিয়ে আবার একবার বিজেপি সরকার লিখতে ও পদ্মফুল আঁকতে দেখা গেল।
উল্লেখ্য, ঘাটাল কেন্দ্রের অন্যতম একটি সমস্যা হল এই এলাকার রেল যোগাযোগ। কারণ এই এলাকার অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাই তাদের যাতায়াতের জন্য ঘাটাল রেল স্টেশন নির্মাণ একটি দুর্দান্ত কাজ হতে চলেছে। আর ভোটের পর এই কাজ দেখার দায়ভার যেতে পারে হিরণের কাঁধে। সেই কারণেই ঘাটাল এলাকায় তাকে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে বেশি করে। যদিও এই সবটাই এখন দাঁড়িয়ে জল্পনার স্তরে। বিজেপির তরফে এখনো কোনো ঘোষণা হয়নি এই মর্মে। হিরণ নিজেও দলের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে।