প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Dev: রাজনীতি ছেড়ে দিতে পারেন অভিনেতা দেব! লোকসভা ভোটের আগেই জমা পড়ল ইস্তফাপত্র

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বাজিমাত করে আবার কি তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবে বিজেপি? নাকি ২০২৪ সালেই বিরোধীরা আসবেন ক্ষমতায়? এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত নেই কারো কাছেই। তবে ভোটের প্রস্তুতি শুরু…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বাজিমাত করে আবার কি তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবে বিজেপি? নাকি ২০২৪ সালেই বিরোধীরা আসবেন ক্ষমতায়? এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত নেই কারো কাছেই। তবে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সবকটি রাজনৈতিক দল। তবে দিল্লির বুকে এখন অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে পদ্ম শিবিরকে। তবে কেন্দ্রে গেরুয়া ঝড়ের আশা থাকলেও এবারের লোকসভা ভোটে বাংলা নিয়ে যে বড় চিন্তায় থাকবে পদ্ম শিবির, তা বলাই যায়। তাই এবার বাংলাকে দখল করতে এবার অন্য পথে হাঁটছে বিজেপি। আর এবার বিজেপি পাখির চোখ করতে চলেছে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রকে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এই লোকসভা কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই আসনে তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেবকে হারানো যে যথেষ্ট কঠিন, তা বারেবারে প্রমাণিত হয়েছে।

ঘাটাল কেন্দ্রে এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে যখন এই কেন্দ্রে দেবের বিপক্ষে নাম উঠে আসছে অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের, তখনই এক অন্য জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন অভিনেতা দেব। লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন ঘাটালের তারকা সাংসদ। তিনটি গুরুত্বপুর্ন সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দেব। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক দফতর সূত্রে খবর, ঘাটাল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহা বিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট পদ এবং বীরসিংহ ডেভলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এরপরেই দেবকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।

ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি? যদিও এই জল্পনার মাঝে অনেকেই দেবের পদত্যাগের সঙ্গে রাজ্যসভা নির্বাচনের সুক্ষ্ম যোগাযোগও দেখছেন। কারণ অনেকের মতে, এবার রাজ্যসভায় দেবকে পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কারণ হল, নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী, লোকসভা বা রাজ্যসভা নির্বাচনে যাঁরা প্রার্থী হন তাঁরা অফিস অফ প্রফিটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। যদিও এখনো এই ইস্তফা প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি ঘাটালের তারকা সাংসদ। এমনকি তৃণমূলের তরফেও এই মর্মে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

তবে এই মুহূর্তে দলের অন্দরে অস্বস্তির একটা জল্পনা মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। কারণ সম্প্রতি দেবের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে অভিযোগ এসেছে যে ইদানিং দলের সঙ্গে নাকি বিবাদ বাড়ছিল দেবের। তাদের অভিযোগ, ঘাটাল উৎসব থেকে শুরু করে জেলা ও এই লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি বিষয়ে দেবকে বাদ দিয়ে দলেরই একটি গোষ্ঠী কাজ করতে চেয়েছেন। এই বিষয়টি নাকি সাংসদ ভালোভাবে মেনে নিতে পারেননি। এমনকি, অনেকেই মনে করছেন এর পর থেকে দেবের সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ছিল। কিন্তু তার জন্যই কি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেতা?এই প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি। কারণ পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো নীরব অভিনেতা নিজেই।