আর কয়েকমাস পরেই লোকসভা ভোট। তার আগে সব দলগুলি নিজেদের রুটম্যাপ সাজিয়ে নিতে মরিয়া। আর এই অবস্থায় কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় তৃণমূল সুপ্রিমোকে না জানানো নিয়ে জোটের অন্দরেই বাড়ছে বিবাদ। ইতিমধ্যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন একলা চলো নীতির। আর এই মোক্ষম সুযোগে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে পিছুপা হলেন না বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে তিনি কটাক্ষের সুরে তৃণমূল সুপ্রিমোর গাড়ি দুর্ঘটনাকে টেনেও শোনালেন চার কথা।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “জোটের ধাক্কা বা গাড়ির ধাক্কা শুধু নয়, ওনার মনের ধাক্কা বুঝতে পারছেন কি? রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলছে আমরা জোটে যাব না। এটা তো সিদ্ধান্ত। ঘোষণা করুন গুছিয়ে। আসলে মোদী যে ধাক্কা দিয়েছেন তা সামলাতে পারছেন না ভালো করে।” এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গাড়ির গতি ভারতবর্ষে ২০০ কিলোমিটার হয় কিনা আমি জানি না। উনি বিমানে চড়লে দুর্ঘটনার ভয়। উনি গাড়িতে চড়লে দুর্ঘটনার ভয়। কেন এরকম হচ্ছে? শুধু খবর করার জন্য? যদি সত্যিই এরকম হয় তাহলে বলব ভগবানের আশীর্বাদ। উনি বেঁচে গেছেন। উনি তো পুলিস মন্ত্রী। ট্রাফিক ওনার হাতেই। উনি যদি সুরক্ষিত না হন, বাকিদের কি অবস্থা হবে? ২০০ বা ৩০০ প্রশ্ন নয়। ট্রাফিক কতটা কন্ট্রোলে তা নিয়ে চিন্তা আছে।”
তবে এখানেই শেষ নয়, ভোটের আগে রাজনৈতিক ময়দান গরম করতে দিলীপ ঘোষ অনেক বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালকে নিয়ে শ্লোগান বিতর্ক প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আর কালচার বলে কিছু নেই। রাজনীতি বা শিক্ষাক্ষেত্র, কোনও ডিসিপ্লিন নেই। সৌজন্য, সভ্যতা, সংস্কৃতির লেশ মাত্র নেই। সব থেকে উপদ্রুত জায়গা। ২০ বা ৩০ বছর ধরে আফগানিস্তান বা সিরিয়ায় মতো দেশে বিপ্লব বা ক্রান্তি চলছে, সেখানে এগুলো আশা করা যায়। ভারতের মতো একটা সভ্য জায়গায় এটা আশা করা যায়না। এটার কারণ মুখ্যমন্ত্রী নিজে। তার নিজের চালচলন কথাবার্তা বাকিদের এই ধরনের উশৃঙ্খল আচরণে প্রশ্রয় দিচ্ছে।”
এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের গতি ও তাতে রাজি সরকারের দুরবস্থার প্রসঙ্গ টেনেও কথা বলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। এদিন তিনি শাহজাহানের গ্রেপ্তারীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “ইডি কি আদৌ ওকে ধরতে গেছে? সার্চ করতে গেছে? নোটিশ দিতে গেছে? সেটা ইডি বলতে পারবে। ধরে দেওয়ার কাজ ইডি র নয়। ওটা পুলিসের কাজ। পুলিস যদি নিজেই তাকে লুকিয়ে রাখে, তাকে পাওয়া যাবে না। পাঠার ইচ্ছায় কালীপুজো হয়? পাঠা কোনওদিনই চাইবে না পুজো হোক। তাহলে তার মায়ের কোল খালি হয়ে যাবে।”