ঘোষণা হয়ে গিয়েছে লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট। এককথায় দিলকুর মসনদ দখলের লড়াইয়ের দামামা বেজে গিয়েছে দেশজুড়ে। শনিবার দুপুরে লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। আগামী ১৯ শে এপ্রিল শুরু হচ্ছে নির্বাচন। চলবে ১ জুন অবধি। এই সাত দফাতেই ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গেও। তাই হাতে সময় কম। এর এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে এখন ভোটের ময়দানে বাজিমাত করতে চাইছেন সব প্রার্থীরা। সেই তালিকায় এবার জুড়ে গেল দেব ওরফে দীপক অধিকারীর নাম।
যদিও কিছুদিন আগে থেকেই চর্চার শীর্ষে রয়েছে দেবের নাম। তার কারণ হল মাসখানেক আগে দেবের পদত্যাগ। সেই নিয়ে তার দল ছাড়ার একটু জল্পনাও তৈরি হয়। তবে সব সামলে ঘাটালের দেব ঘাটালেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ তার নাম ঘোষণা করেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে। আর তারপর থেকেই চূড়ান্ত প্রচারে নেমেছেন দেব। সম্প্রতি, পাঁশকুড়ায় সভা করেন দেব। সেখানে তাকে কটাক্ষ প্রসঙ্গে দেব বলেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি কারও কাছ থেকে আমি এক টাকাও নিইনি। যদি প্রমাণ কারও কাছে থাকে, তবে ইডি সিবিআইয়ের কাছে দিয়ে আসুক।”
এদিন পাঁশকুড়ায় দেব আরো বলেন, “গত তিন বছরে যে আরোপগুলো আমার ওপর আসছে, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি কারও কাছ থেকে আমি এক টাকাও নিইনি। যদি প্রমাণ কারও কাছে থাকে তবে ইডি সিবিআই-এর কাছে দিয়ে আসুক, আপনাদের প্রার্থী আপনাদের সাংসদ কারও এক টাকাও মেরে নিজের সংসার খরচ চালায়নি।” এদিন তিনি আরো বলেন, “আমি নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে ভালো করার চেষ্টা করেছি, করোনার সময় সব সাংসদরা বাড়িতে ছিলেন, আমি তখন রাস্তায় ছিলাম, অ্যাম্বুলেন্স নেই কারও কাছে, অক্সিজেন নেই, তখন আমি রাস্তায় ছিলাম। মানুষ ভোট দেয় দলের নেতাদেরকে কাছে পাওয়ার জন্য।”
প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই ঘাটাল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহা বিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট পদ এবং বীরসিংহ ডেভলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন দেব। আর তারপরেই তাকে ঘিরে নানা দুর্নীতির খোঁচা দেওয়া হচ্ছে বিরোধীদের তরফে। তবে আগেও দেব বলেন, “যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে আমি টাকা নিয়ে দুর্নীতি করেছি, তাহলে রাজনীতি কেন, আমি ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেব। কিন্তু যদি তা প্রমাণ করা না যায়, তাহলে তাঁরা রাজনীতি ছাড়বেন তো?”