দ্রুতগতির ট্রেনের নাম শুনলেই সকলের মাথায় আসে জাপানের বুলেট ট্রেনের নাম। তবে সেই বুলেট ট্রেনকে এখন টক্কর দিচ্ছে সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারতে তৈরি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ‘ট্রেন-১৮’ কোড নামে পরিচিত এই ট্রেনের গতি এখন আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছে দূরের স্থানকে। গোটা দেশেই চালু হয়েছে বন্দে ভারতের পরিষেবা। পশ্চিমবঙ্গেও চালু হয়েছে এই সেমি-হাই স্পিড ট্রেনের যাত্রাপথ। রাজ্যে এখন একাধিক রুটে চলে এই ট্রেন। তবে নতুনভাবে সুখবর শোনাল রেল। রাজ্যে আরো একটি রুটে চালু হচ্ছে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন।
আমাদের রাজ্যে প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হয় হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে। পর কিছুদিন পরেই হাওড়া-পুরী রুটে চালু হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এখন আবার নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত শক্তি ট্রেন যায়। আপাতত তিনটি রুটেই হাওড়া থেকে ছাড়ছে এই সেমি-হাইস্পিড ট্রেনটি। তবে সূত্রের খবর, বাংলার বুকে ছুটবে আরো এক বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এখনো অবধি দেশে মোট ৮২ টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু রয়েছে। কিন্তু এবার শুধু দেশ নয়, বিদেশের মাটিতেও এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন ছুটবে, এমনটাই জানা গেছে রেল সূত্রে।
জানা গেছে, ভারতের এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনের প্রযুক্তি, সুবিধা ও গতি দেখে অন্যান্য দেশ তাতে অনুপ্রাণিত হচ্ছে। আর সেই কারণেই ভারতের কাছে এই ট্রেন চেয়ে নিতেও আগ্রহী হয়েছে অনেক দেশ। তাই তখন ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের জন্য এই ট্রেন নির্মাণের ব্যবস্থা নরম হচ্ছে বলে খবর। জানা গেছে, বর্তমানে ওই একই ওয়ার্কশপে কাজ শুরু হয়েছে। তবে আগামী দিনে বিদেশের জন্য ট্রেন তৈরি করতে আলাদা ওয়ার্কশপ নির্মাণ করা হবে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
এই বিষয়টি ভারতীয় রেলের কাছে যেমন গর্বের, তেমনই বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং। এই প্রসঙ্গে ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “আমাদের দেশে বন্দে ভারত তৈরি করাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা। আত্মবিশ্বাসও তৈরি হয়েছে। খুব শীঘ্রই রফতানিও শুরু হবে। বর্তমানে দেশে বন্দে ভারত চলছে ৮২টি। ট্রেনগুলি যাতে সর্বোচ্চ ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে চলতে পারে, সেই প্রচেষ্টাও শুরু করেছে রেল।” জানা গেছে, ভারত শীঘ্রই ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে এই ট্রেনের রফতানি শুরু করবে। আগামী অর্থবর্ষে এই রপ্তানি শুরু হবে বলে খবর।