ভারতীয় রেলের বৃহত্তম নেটওয়ার্ক সেটিকে বিশ্বের দরবারে একটি উঁচু স্থান দিয়ে থাকে। সেই কারণেই এবার দেশের রেল পরিষেবাকে উন্নীত ককর্তে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় রেল। একইসঙ্গে যেন ঢেলে সাজানো হচ্ছে দেশের স্টেশনগুলিকে, তেমনই ট্রেনের গতি বাড়াতে চালু করা হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো সেমি-হাইস্পিড ট্রেন। বর্তমানে গোটা দেশেই চালু হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিষেবা। পশ্চিমবঙ্গেও চালু হয়েছে এই সেমি-হাই স্পিড ট্রেনের যাত্রাপথ। রাজ্যে এখন একাধিক রুটে চলে এই ট্রেন। আর এবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে হল বড়সড় এক ঘোষণা।
গতির সঙ্গে অত্যাধুনিক সব সুবিধা পাওয়া যায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। যাত্রীদের প্রিমিয়াম ধরণের সুবিধা দিতে এই ট্রেনকে অনেক অত্যাধুনিক ফিচার্স দিয়ে সাজানো হয়। তবে সম্পুর্ন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনটি বর্তমানে পুরোটাই চেয়ার কার। অর্থাৎ বর্তমানে যাত্রীরা কেবলমাত্র বসেই এই ট্রেনে সফর করতে পারেন। তবে এই ট্রেনের সিটগুলি ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে সক্ষম। এছাড়াও অটোমেটিক দরজা বন্ধ ও খোলার ব্যবস্থা সহ একাধিক আন্তর্জাতিক মানের সমস্ত পরিষেবা উপলব্ধ রয়েছে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনে। তাই দেশবাসীর কাছে মধ্যমনি হয়ে উঠেছে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
তবে এবার চেয়ার কার থেকে এবার স্লিপার কোচও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে জুড়তে উদ্যোগী হচ্ছে রেল। জানা গেছে, আগামী খুব শীঘ্রই এই স্লিপার ক্লাস বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। এছাড়াও এই ট্রেনের স্লিপার ক্লাস ট্রেনে কোচের সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে বেশি হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে স্লিপার ক্লাস কোচের নির্মাণ শুরু হয়েছে দেশে। রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে কিনেট রেলওয়ে সলিউশনসের সঙ্গে ভারতীয় রেলের চুক্তিতে এই নির্মাণ হচ্ছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, আগামী মার্চের মধ্যেই এই ট্রেন চালু হয়ে যাবে। প্রথমে রাজস্থানের যোধপুর জংশন থেকে দিল্লি ও মুম্বই রুটে চলবে এই ট্রেন।
সূত্রের খবর, মোট ১৬টি কোচ থাকবে এই ট্রেনে। এরমধ্যে ১১টি এসি থ্রি টায়ার, ৪টি এসি টু-টায়ার ও একটি এসি ফার্স্ট ক্লাস কোচ থাকবে। মোট ৮৫৭ জন যাত্রী যেতে পারবেন এই ট্রেনে। যদিও এর মধ্যে ৩৪ টি আসন কর্মীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্লিপার কোচে মিলবে পাঁচতারা হোটেলের মতো সব সুযোগ সুবিধা। তবে এই ট্রেনে থাকবে না কোনো প্যান্ট্রি কারের বগি। তার পরিবর্তে প্রতিটি বগিতে একটি মিনি প্যান্ট্রির ব্যবস্থা থাকবে, যার মাধ্যমে যাত্রীদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়াও, প্রতিবন্ধী যাত্রীদের বোর্ডিং এবং ডিবোর্ডিংয়ের জন্যও র্যাম্প ও হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। এর পাশাপাশি মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট, ফুট রেস্ট এক্সটেনশন ও কুশন সিটের ব্যবস্থাও থাকবে এই ট্রেনে।